নরসিংদীতে চাঁদাবাজি করা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত। তাদের মারধরে চারজন আহত হয়েছেন। এ সময় হামলাকারীরা আহতদের ঘরের ভেতর রেখে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দেয়। সোমবার বিকালে সদর উপজেলার দক্ষিণ শিলমান্দী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল বিকালে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভুক্তভোগীরা ঘরে তালাবদ্ধ ছিলেন। জানা যায়, দক্ষিণ শিলমান্দী গ্রামের পাওয়ার লুম মালিক গুলজার ও জাকির হোসেনের কাছে দাবি করে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ওমর ফারুক গং। চাঁদা না দেওয়ায় তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এর জের ধরে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর উভয় পক্ষের সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হন। এ সময় ওমর ফারুকের মা মমতাজ মারামারি থামাতে গিয়ে গুরুতর আহত হন। এর সাত দিনের মাথায় ঢাকা মেডিকেলে মারা যান তিনি। এই হত্যা মামলায় পাওয়ার লুম ব্যবসায়ী গুলজারসহ অন্য আসামিরা ২৫ জানুয়ারি হাইকোর্ট থেকে জামিনে ছাড়া পান। সোমবার বিকালে গুলজার বাড়ি ফেরার পথে কালাম মিয়া ও হুমায়ুন মিয়াসহ ১৪/১৫ জন তাদের রাস্তায় পিটিয়ে আহত করেন। এ সময় তারা দৌড়ে বাড়ির ভিতরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলে সন্ত্রাসীরা বাড়িঘর ও কারখানায় ব্যাপক ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে বাড়ির দরজায় বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দেয়। রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। অবরুদ্ধদের উদ্ধারের কোনো ব্যবস্থাও নেয়নি। গতকাল স্থানীয় সংবাদিকরা গিয়ে গুলজারদের তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পান। ঘরের ভেতর থেকে গোলজার হোসেন বলেন, ‘ফারুক ও তার সঙ্গীরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। আমরা ব্যবসায়ীরা তাদের হাতে জিম্মি। ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতেও সাহস করে না।’