ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় গতকাল আওয়ামী লীগের বিবদমান দুই গ্রুপে দফায় দফায় সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১২ জনকে ফরিদপুর মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে ৪০টি বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে রামকান্তপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেনের বাড়ি। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ আট রাউন্ড টিয়ারশেল ও ৫৬ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর ছেলে আয়মান আকবর বাবলু চৌধুরী গ্রুপের সঙ্গে সালথা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী সাব্বির আলীর আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে একাধিকবার সংঘর্ষ, হামলা-পাল্টা হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে। সবশেষ সোমবার রাতে সালথা বাজারে সাব্বিরের সমর্থকদের সঙ্গে বাবলুর লোক হিসেবে পরিচিত সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলতাফের সমর্থকদের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। উভয় গ্রুপে রাতভর চলে উত্তেজনা। মঙ্গলবার সালথা বাজার ও মদনদিয়ায় দুই গ্রুপের কয়েক হাজার সমর্থক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দফায় দফায় চলে সংঘাত। এ সময় গোটা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে আলতাফ হোসেনের বাড়িতে আগুন দেয় প্রতিপক্ষ। এতে কয়েকটি ঘর পুড়ে যায়। এছাড়া উভয় পক্ষের ৪০টি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। ফরিদপুর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ-র্যাব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। চৌধুরী সাব্বির আলী বলেন, ‘বাবলু চৌধুরীর মদদে আলতাফের সমর্থকরা আমাদের নেতা-কর্মী, সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়েছে।’ আলতাফের ভাষ্য, ‘সাব্বির ও তার সমর্থকরা এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে নিরীহ মানুষের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করছে। সালথা থানার ওসি জানান, পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে। এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।