বুধবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

রাখাইনদের বর্ষবরণ

কক্সবাজার প্রতিনিধি

রাখাইনদের বর্ষবরণ

কক্সবাজারে রাখাইনদের অন্যতম প্রধান উৎসব সাংগ্রাইং চলছে। একে অপরের গায়ে জল ছিটিয়ে দিয়ে নতুন রাখাইন বর্ষ ১৩৭৯ মগীসনকে বরণ করে নেয়। নানা ধর্মীয় পার্বনের মধ্য দিয়ে ১৩৭৮ মগীসনকে বিদায় জানানো হয়েছে। ৩ দিনের সাংগ্রাইং পালনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বর্ষবরণ উৎসব। এজন্য জেলার রাখাইন পল্লীগুলো সেজেছে নব সাজে। বর্ণিল সাজে সাজানো সাংগ্রাইং তথা পানি ছিটানোর প্যান্ডেলে চলছে জলকেলি উৎসব।  পুরানো বছরের সব ব্যথা, বেদনা, জীর্ণতা মুছে পরস্পরের মধ্যে জল ছিটিয়ে নব উদ্যোমে নতুন বছরকে বরণ করার উৎসবে মেতে উঠেছে রাখাইন সম্প্রদায়ের ছোট-বড় সবাই। অতিতের সব ব্যর্থতা, গ্লানি, হিংসা, বিদ্বেষ  ভুলে ভ্রাতৃত্ববোধের মাধ্যমে একে অপরকে আপন করে ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে যেতে মেলবন্ধনে মিলেছে সবাই। একে অপরের গায়ে পানি ছিটিয়ে করে উল্লাস। উপোস পালন করে রাখাইন-নারী পুরুষ। এ সময় নানা বাদ্যবাজনা বাজিয়ে নাচ-গানে মুখরিত হয়ে উঠে রাখাইন পল্লী।

জেলা শহরের রাখাইন পাড়া, চাউল বাজার, বার্মিজ স্কুল, হাঙ্গর পাড়া, টেকপাড়া, পূর্ব পশ্চিম মাছ বাজার, আরডিএফ ভবন, ক্যাং পাড়াসহ ১০টি রাখাইন পল্লীতে সাজানো হয়েছে প্যান্ডেল। শহর ছাড়াও টেকনাফ, হ্নীলা, মহেশখালী, রামু পানির ছড়া, চকরিয়া মানিকপুরসহ রাখাইন অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে শুরু হয়েছে সাংগ্রাইং উৎসব। রঙিন ফুল আর নানা কারুকার্যে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে প্যান্ডেলের চারপাশ।  ১৭ এপ্রিল থেকে আজ ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে সাংগ্রাইং উৎসব। বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে ১৩ এপ্রিল থেকে। ১৩ এপ্রিল সকালে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে ক্যাং এ গিয়ে বুদ্ধ স্নান করা হয়। বৌদ্ধ ভিক্ষুদের দান-দক্ষিণা করা হয়। ১৪ এপ্রিল পঞ্চশীল,অষ্টশীল ও বিভিন্ন জিনিস দান করেন। এ ছাড়া ১৫ ও ১৬ এপ্রিল রাখাইন পল্লীগুলোতে শিশু-কিশোরসহ নানা পূজা-অর্চনায় মেতে উঠে। ১৭ এপ্রিল থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত জাঁকজমকভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সাংগ্রাইং উৎসব।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর