ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ময়েনদিয়া বাজারের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সুজন সরদার ও মান্নান মাতুব্বর গ্রুপের মধ্যে গতকাল দফায় দফায় সংঘর্ষ ভাঙচুর হয়েছে। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ও শটগানের গুলিবর্ষণ করে। আহত হয়েছেন বোয়ালমারী থানার ওসি মিজানুর রহমান, এসআই সহিদুল ইসলাম, এসআই সুকুমার ও এসআই বোরাহান উদ্দিনসহ উভয়পক্ষের ২৫ জন। এদের মধ্যে চারজনকে ফরিদপুর মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের দেওয়া হয়েছে প্রাথমিক চিকিৎসা।

জানা যায়, শুক্রবার এই দুই পক্ষে সংঘর্ষ হয়। এর জেরে শনিবার সকালে সুজনের সমর্থক রেজাউল শেখকে ময়েনদিয়া বাজারে মারধর করে মান্নানের লোকজন। কিছুক্ষণ পর সুজন দেশীয় অস্ত্রসহ কয়েকশ লোক নিয়ে মান্নানের শ্রীনগর গ্রামে হামলা চালিয়ে ১০/১২টি বাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত থেমে থেমে চলে সংঘর্ষ। স্থানীয় সূত্র জানায়, সুজনের মূল বাড়ি পাশের সালথা উপজেলায় হলেও ময়েনদিয়া বাজারের নিয়ন্ত্রণ নিতে তিনি বোয়ালমারীর মোটরদিয়া গ্রামে বাড়ি বানান। অপরদিকে মান্নান ১০ বছর ধরে ময়েনদিয়া বাজারে আধিপত্য বিস্তার করে আসছেন। গত ইউপি নির্বাচনে মান্নান স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নৌকার প্রার্থী নুরুল আলম মিনার কাছে পরাজিত হন। এরপর থেকে নুরুল আলম ময়েনদিয়া বাজারে মান্নানের আধিপত্য খর্ব করতে সুজনকে দলে টানেন। এরপর থেকেই এলাকায় উভয় গ্রুপে দ্বন্দ্ব বাড়তে থাকে। সুজনের অভিযোগ, মান্নানের লোকজন তার দলের রেজাউল শেখকে মারধর করে। তাকে উদ্ধার করতে গেলে সংঘর্ষ বাধে। মান্নানের ভাই আওয়ামী লীগ নেতা ছিদ্দিক মাতুব্বর বলেন, ঘটনাটি আমার জানা নেই। তারা শুধু শুধু আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। বোয়ালমারী থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।