শিরোনাম
সোমবার, ৮ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

মুক্তাগাছায় কালবৈশাখীতে একজন নিহত, আহত ৫০

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

কালবৈশাখী ঝড়ে মুক্তাগাছা উপজেলায় অর্ধশতাধিক গ্রাম লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। শনিবার দিবাগত রাতে বয়ে যাওয়া এ ঝড়ে একজন নিহত ও আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক লোক। বিধ্বস্ত হয়েছে শত শত বাড়িঘর। অসংখ্য গাছপালা ভেঙে পড়েছে। বিদ্যুতের খুটি ভেঙে ও তার ছিড়ে সংযোগের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

জানা যায়, রাত ৯টার দিকে প্রচণ্ড বেগে ঝড় শুরু হয়। ১৫ মিনিটের ঝড়ে দুল্লা, বড়গ্রাম, তারাটী, ঘোগা, বাশাটী, মানকোন, কাশিমপুর ইউনিয়ন ও পৌরসভাসহ আশপাশের এলাকায় কয়েকশ কাঁচা বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, দোকান বিধ্বস্ত হয়। ঘরের উপর গাছ পড়ে তারাটী ইউনিয়নের মৈশাদিয়া গ্রামের কসিমুদ্দিনের ছেলে মজিদ (৬০) নিহত হয়েছেন। বিএসডিসির কাশিমপুর বীজ বর্ধন খামারের উপপরিচালক শফিকুল ইসলাম জানান, ঝড়ে খামারের ২৫ একর জমির হাইব্রিড ও ১৫ একর জমির ইনব্রিড বীজ ধান খেত পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। ময়মনসিংহ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জেনারেল ম্যানেজার মকবুল হোসেন জানান, বিভিন্ন স্থানে ৫৭টি বৈদ্যুতিক খুটি উপড়ে পড়েছে। ঝড়ের পর উপজেলার বেশির ভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবারাহ বন্ধ রয়েছে। ঘোগা ইউপি সদস্য লুত্ফর রহমান জানান, তার এলাকায় গাছের ডাল ভেঙে ও ঘরের নিচে চাপা পড়ে ২০ জন আহত হয়েছেন।

লালমনিরহাটে শিলা বৃষ্টি : লালমনিরহাট প্রতিনিধি জানান, জেলায় কালবৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে কয়েকটি  গ্রাম লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। শনিবার রাতে ঘণ্টাব্যাপী এ ঝড়ে গাছপালা, ফসল ও কাঁচা-অধাপাকা ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে ভুট্টা, উঠতি বোরো ধানসহ, পাট, সবজি খেত সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সদর, আদিতমারী ও হাতীবান্ধা উপজেলা। লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিধু ভূষণ বলেন, শিলাবৃষ্টির আঘাতে কৃষকের সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। বিশেষ করে পাকা বোরোর মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। 

সর্বশেষ খবর