লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া এক রোগীর দুই লাখ ২৭ হাজার রুপি কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুই কাস্টমস কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। শনিবার বিকালে বাংলাদেশি মামুনুর রশীদ বুড়িমারী দিয়ে ভারত থেকে ফিরে এ অভিযোগ করেন। তিনি ঢাকার কাফরুলের নাসির উদ্দিনের ছেলে। মামুনুর ডায়াবেটিক ও থাইরয়েড রোগের চিকিৎসা নিতে ভারতে যাওয়ার জন্য বুড়িমারী বন্দর ইমিগ্রেশন আসেন। বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার মামুনুর ভারতে যাওয়ার জন্য বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন আসেন। বন্দরে বাংলাদেশি টাকাগুলো রুপিতে ভাঙিয়ে নেন তিনি। ইমিগ্রেশনের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভারতে যাওয়ার সময় শুল্ক গোয়েন্দা এবাদত আলী তাকে ডেকে নিয়ে যান কাস্টমস অফিসে। সেখানে রাজস্ব কর্মকর্তা মজিবুর রহমানের কক্ষে দিনভর তাকে আটকে রাখা হয়। এ সময় মামুনের কাছে থাকা দুই লাখ ২৭ হাজার ৯২০ রুপী ও একটি স্মার্টফোন কেড়ে নেন মজিবুর রহমান ও এবাদত আলী। একপর্যায়ে মুচলেকা নিয়ে তাকে সন্ধ্যায় ভারতের চ্যাংড়াবান্ধা পার করে দিয়ে আসেন এ দুই কর্মকর্তা। মামুন গতকাল মুঠোফোনে জানান, রুপি কেড়ে নেওয়ার সময় তারা আমাকে ১৪ বছর জেল-জরিমানার ভয় দেখান। এবাদত আলী রুপি ও ফোন কেড়ে নেওয়ার কথা অস্বীকার করে জানান, মামুনুর রশীদকে সন্দেহ হওয়ায় কাস্টমসে ডেকে আনা হয়। পরে তাকে রাজস্ব কর্মকর্তা মজিবর রহমানসহ চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দর পর্যন্ত এগিয়ে দেয়া হয়। বুড়িমারী বন্দর কাস্টমস সহকারী কমিশনার রিজভী আহমেদ জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।