শিরোনাম
সোমবার, ৮ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

ভদ্রখোলার আলোচিত ৫ খুনের বিচার হয়নি দীর্ঘদিনেও

ঘরছাড়া ২০ পরিবার

মাদারীপুর প্রতিনিধি

মাদারীপুরে সদর উপজেলার ভদ্রখোলা গ্রামের আলোচিত পাঁচ খুনের একটিরও বিচার হয়নি। নিহতদের পরিবার রয়েছে নিরাপত্তাহীনতায়। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে একে একে হত্যা করা হয় লিয়াকত খান, গোলাম ফারুক, আশরাফ বেপারী, নাসির খান ও রুবেল সরদারকে। সম্প্রতি ফারুক হত্যা মামলায় স্বজনদের না জানিয়ে আদালতে আপসনামা জমা দেওয়ার প্রতিবাদ করায় আবার উত্তেজনা শুরু হয়েছে। এ সব হত্যা মামলার আসামিদের ভয়ে বর্তমানে ঘরছাড়া ২০টি পরিবার। সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, ২০১২ সালের ২৫ আগস্ট কুপিয়ে হত্যা করা হয় ভদ্রখোলা গ্রামের খলিল সরদারের ছেলে রুবেল সরদারকে। ২০০৬ সালে খুন হন মোহাম্মদ আলির ছেলে নাসির। ১৯৯৭ সালে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারা হয় গোলাম ফারুককে। তারও আগে খুন হন ওই গ্রামের লিয়াকত আলি খান ও আশরাফ বেপারী। একই এলাকার জলিল মোল্লা বলেন, হত্যা মামলার আসামিদের ভয়ে কমপক্ষে ২০টি পরিবার বাড়িছাড়া। গত বুধবার একটি বসতঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এছাড়া হামলা চালিয়েছে কয়েক বাড়িতে। দীর্ঘ দিনেও একই এলাকায় পাঁচটি হত্যা মামলার একটিও রায় ঘোষণা না হওয়ায় হতাশ নিহতের পরিবার।  নিহত ফারুকের ভাই কিবরিয়া বলেন, ‘ভাই হত্যার দীর্ঘদিনেও বিচার হয়নি। এখন আসামিদের কাছ থেকে টাকা পেয়ে পুলিশ মামলা মীমাংসার পাঁয়তারা করছে। আমি ওদের ভয়ে বাড়ি থাকতে পারি না।’ রুবেল সরদারের মা হাসিনা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘এখানে একটি চক্র রয়েছে যাদের কাজই মারামারি-খুনখারাবি করা। এরা আমার ছেলেকে দিনদুপুরে আমার সামনে কুপিয়ে হত্যা করে। আমি খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’ অভিযুক্ত ইসমাইল মোল্লা বলেন, ‘দীর্ঘদিন আগের ঘটনা মিটমাট হয়ে গেছে। খোঁচাখুঁচি করে লাভ কি’? মাদারীপুর জজ কোর্টের পিপি এমরান লতিফ বলেন, ‘মূলত বাদী ও সাক্ষীদের অসহযোগিতার কারণেই বিচার বিলম্ব হচ্ছে’। পুলিশ সুপার সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি আসার আগে এখানে ৪/৫টি হত্যার ঘটনা ঘটেছিল। সব মামলার চার্জশিট আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। কারো নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে আমরা তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো’।

সর্বশেষ খবর