সোমবার, ১৯ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

যাত্রী যানবাহন থেকে দুই বার দিগুণ-তিনগুণ ভাড়া আদায়

গোমা ফেরি ঘাট

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বাকেরগঞ্জ উপজেলার গোমা ফেরি ঘাটে যাত্রী ও যানবাহন থেকে দুই বার ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ঘাটে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) একবার এবং জেলা পরিষদ যাত্রীদের কাছ থেকে আরেকবার ভাড়া আদায় করছেন। ফেরি এবং খেয়াঘাটে আবার নির্ধারিত ভাড়ার দ্বিগুণ-তিনগুণ আদায়ের অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। ফেরিতে মোটরসাইকেল প্রতি ২০ টাকা হারে ভাড়া আদায় করেন ইজারাদারের লোক মোশারফ হোসেন। ৫০ টাকা মাইক্রোবাস ভাড়ার স্থলে নেওয়া হয় ৩০০ টাকা। মোশারেফ বলেন, ইজারাদার বলেছে তাই মোটরসাইকেলে ২০ ও মাইক্রোবাসে ৩০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। নিয়ম হচ্ছে ফেরিতে পার হলে আর খেয়াঘাটে টাকা দিতে হবে না। কিন্তু ফেরি পার হয়ে যাওয়ার পথে খেয়াঘাটে যাত্রী এবং মোটরসাইকেল আরোহীদের কাছ থেকে ১০-২০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। যাত্রী হাবিবা জানান, তিনি ফেরিতে পার হওয়ার পরও এপারে খেয়াঘাটের ইজারাদার ১০ টাকা নিয়েছেন। ফেরিতে পার হওয়ার কথা বললে তিনি জানান তারপরও খেয়াঘাটের টাকা দিতে হবে। মোটরসাইকেল আরোহী সাইফুর বলেন, ফেরিতে ২০ টাকা দেওয়ার পর আবার খেয়াঘাটে ২০ টাকা দিতে হয়েছে। একই অভিযোগ একাধিক যাত্রীর। গোমা ফেরিঘাটে সওজ বিভাগের ফেরির ইজারাদার রাজু জানান, মোটরসাইকেল ভাড়া ধরা আছে পাঁচ টাকা। কিন্তু আদায় করা হয় ১৫ টাকা। কারণ সওজ বিভাগ দিনে মাত্র তিনটি ট্রিপ দিতে বলেছে। তারা অতিরিক্ত ট্রিপ দেন। তাই জ্বালানি তেলসহ অন্যান্য খরচ পুষিয়ে নিতে বেশি নেওয়া হয়। ফেরিতে টাকা নেওয়ার পরও খেয়াঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কে তিনি ‘জুলুম’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। জেলা পরিষদ হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা নাছিরউদ্দিন জানান, বরিশালের খেয়াঘাটগুলোতে মানুষ পারাপারে সর্বোচ্চ পাঁচ টাকা নেওয়ার কথা। মোটরসাইকেল নেওয়ার কথা ১০-১২ টাকা। কিন্তু অনেক স্থানে বেশি নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী গোলাম মোস্তফা জানান, ইজারা শর্তে বলা আছে ভাড়া তালিকা জনসম্মুখে টাঙাতে হবে। ওরা সেগুলো আড়াল করে রাখে। বরিশাল সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম মোস্তাফা জানান, যেসব স্থানে সওজের ফেরি আছে সেখানে আর কেউ ভাড়া আদায় করতে পারবে না। আর ফেরিতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের সুযোগ নেই। জনগণকেও এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।

সর্বশেষ খবর