বৃহস্পতিবার, ২২ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

‘বোনাস’ ধানে কৃষকের ঈদ বোনাস

নালিতাবাড়ী প্রতিনিধি

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় ‘বোনাস’ ধানকে ঈদ বোনাস হিসেবে দেখছেন কৃষকরা। বোরো ধান কাটার এক মাস পর মুড়ি (নাড়া) থেকে শিষ দিয়ে একর প্রতি ১৫-২০ মণ ধান বাড়তি পাওয়ায় কৃষকের মুখে এখন ঈদের হাসি। উপজেলা কৃষি অফিস ও স্থানীয় সূত্র জানায়, যেসব জমিতে ব্রি-২৬ ও ব্রি-২৮ ধান এক মাস আগে কাটা হয়েছে; সেই ধান গাছের মুড়ি থেকে আবার শিষ দিয়ে ধান হয়েছে। এতে কৃষকের সার, তেল, কীটনাষক ও বীজ কোনোটিই লাগেনি। কাজ শুধু ধান কাটা ও মাড়াই। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর উপজেলার পোড়াগাঁও, রামচন্দ্রকুড়া, কাকরকান্দী, নন্নী, নয়াবিল এবং নালিতাবাড়ী ইউনিয়নে এ ধান বেশি হয়েছে। খরচ ছাড়া এ ধানের ফলন কিভাবে বাড়ানো যায় তার জন্য স্থানীয় এমপি কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর নির্দেশে ১৯ জুন ধান গবেষণা ইনস্টিটিউিটের তিন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নালিতাবাড়ী মাঠ পর্যায়ে পর্যবেক্ষণ করে গেছেন। নালিতাবাড়ী ইউনিয়নের কেন্দুয়াপাড়ার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ছয় কাঠা জমিতে বোরো ধান ব্রি-২৬ লাগাইয়া ১৮ মণ ধান পাইছিলাম। অহনা বোনাস ধান আরো ছয় মণ পাইছি। শুধু কাটাইতে যা খরচ হইছে।’ কাকরকান্দী ইউনিয়নের রফিজ উদ্দিন বলেন, ‘আমার দশ কাঠা জমিতে বোরো ধান ২৮ লাগাইছিলাম। প্রথমে ২২ মণ ধান পাই। আর এখন বোনাস ধাণ আট মণ পাইছি। আল্লাহ বোনাস ধান দিছে তাই ঈদটা ভালাই কাটবো।’ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফ ইকবাল জানান, চলতি বছর বোর ধান কাটার আগে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরবর্তীতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধান কাটার পর মুড়ি থেকে শিষ দিয়ে আবার ধান হয়েছে।

সর্বশেষ খবর