বৃহস্পতিবার, ২৯ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা
পাচারকারী ধরতে গিয়ে নদীতে নিখোঁজ

৩৫ ঘণ্টা পর বিজিবি সদস্যের লাশ উদ্ধার

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

লালমনিরহাটের দহগ্রাম সীমান্তে গরু পাচারকারীদের ধরতে গিয়ে টহলরত অবস্থায় নিখোঁজ বিজিবির ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়ার লাশ ৩৫ ঘণ্টা পর তিস্তা নদী থেকে উদ্ধার করেছে বিএসএফ। গতকাল সকালে ঘটনাস্থল (দহগ্রামের আবুলের চর) থেকে প্রায় চার কিলোমিটার পূর্বে ভাটি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল গোলাম মোরশেদ। সুমন মিয়ার বাড়ি হবিগঞ্জ জেলায়। তিনি ৬১ বিজিবিতে কমর্রত থাকলেও লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নে সংযুক্ত ছিলেন। বিজিবির এই কর্মকর্তা জানান, মঙ্গলবার দিনভর বিজিবি, বিএসএফ ও ফারার সার্ভিসের দুটি ইউনিটের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান চালালেও নিখোঁজ বিজিবি সদস্যের সন্ধান না পাওয়ায় সন্ধ্যায় অভিযান স্থগিত করা হয়। গতকাল সকালে পুনরায় অভিযান শুরু হলে ভারতের ১৩ বিএসএফের অরুণ ক্যাম্পের সদস্যরা তিস্তা নদীতে সুমনের মরদেহ দেখতে পান। পরে মরদেহটি উদ্ধার করে বিজিবিকে জানায়। বিকালে বিজিবির পাটগ্রামের কোম্পানি কমান্ডার হাবিলদার সুজাউল ইসলাম সুজার কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত সোমবার রাত ২টার দিকে দহগ্রাম সীমান্তের ৬ নম্বর মেইন পিলারের ৩ নম্বর সাব পিলার আবুলের চর এলাকায় গরু চোরাচালান প্রতিরোধে তিস্তা নদীতে নেমে নিখোঁজ হন বিজিবির ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়া। ওই রাতেই তাকে উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়।

সর্বশেষ খবর