শুক্রবার, ৩০ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

খাবার প্লেটে ছাদের আস্তর চুন দরজা নেই টয়লেটে

কুমিল্লা প্রতিনিধি

খাবার প্লেটে ছাদের আস্তর চুন দরজা নেই টয়লেটে

জরাজীর্ণ হল আর আসন সংকটে দুর্ভোগে পড়েছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ কলেজের ২৭ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য আবাসিক হলে আসন রয়েছে মাত্র এক হাজার ৩০০টি।

কলেজ সূত্র জানায়, ভিক্টোরিয়া কলেজ ডিগ্রি শাখায় দুটি ছাত্রাবাস রয়েছে। ছাত্রদের জন্য কবি নজরুল ইসলাম হল। যেখানে আসন সংখ্যা ৬৩৫। ছাত্রীদের নবাব ফয়জুন্নেসা হলে আসন ৪০০টি। এসব ছাত্রাবাস দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় ছাদের অনেক স্থানে চুইয়ে পানি পড়ে। খসে পড়ছে আস্তর। উচ্চ মাধ্যমিক শাখার জন্য নিউ হোস্টেলে চারটি ভবনের মধ্যে একতলা তিনটি ভবনই পরিত্যক্ত। এর পাশেই চারতলা ভবনটিতে গাদাগাদি করে থাকছেন ২৮০ ছাত্র। কলেজে আবাসন সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। পর্যাপ্ত আসন বরাদ্দ না থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। বেশি সমস্যায় পড়েছেন ছাত্রীরা। কবি নজরুল ইসলাম ও নিউ হোস্টেলের হলের কয়েক শিক্ষার্থী জানান, এখানে প্রায় সময় খাওয়ার প্লেটে ছাদের আস্তর ও চুন খসে পড়ছে। চুন পড়ে জামাকাপড় ও বিছানা ময়লা হয়ে যায়। নিচের প্রায় সব কক্ষই জরাজীর্ণ ও স্যাঁতস্যাঁতে। এছাড়া জলাবদ্ধতা লেগেই আছে। আলাউদ্দিন আজাদ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘নজরুল হলের বেশির ভাগ টয়লেটের দরজা নেই। শিক্ষার্থীর তুলনায় টয়লেট স্বল্পতার কারণে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। ডাইনিংয়ের অবস্থাও করুণ।’ নবাব ফয়জুন্নেছা ছাত্রী হলের কানিজ ফাতেমা বলেন, ‘খাবার মান ভালো নয়। এছাড়া একটু বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। নিচের কক্ষগুলো স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে যায়। জানালা ভাঙা থাকায় ভিতরে পানি ঢুকে।’ ছাত্রী হলের তত্ত্বাবধায়ক প্রফেসর মিতা সফিনাজ বলেন, ‘অনেক শিক্ষার্থী দরিদ্র, টিউশনি করে খরচ জোগায়। তারা বেশি টাকা দিতে পারে না। তাই খাবারের মান ভালো করা যাচ্ছে না। জলাবদ্ধতার কথা স্বীকার করেন তিনি। ভিক্টোরিয়া কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু তাহের বলেন, আবাসন সংকট সমাধানের জন্য আমরা চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে কলেজের ধর্মপুর ডিগ্রি শাখায় ছাত্রীদের জন্য আরও একটি আবাসিক হল নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক ছাত্রীদের জন্য দক্ষিণ চর্থায় শেরেবাংলা আবাসিক হল দ্রুত সংস্কার করা হবে। জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেন সংস্কারের জন্য জেলা পরিষদকে বলা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর