শুক্রবার, ৩০ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

চাঁপাইয়ে প্রসূতি সরাইলে শিশুর মৃত্যু

ডাক্তারের অবহেলা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাব ওয়ান মেডিকেল সার্ভিসেস-এ ডাক্তারের অবহেলায় প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি স্বীকারও করেছে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি জেলা সিভিল সার্জনকে লিখিতভাবে জানিয়ে সংশ্লিষ্ট ডাক্তার ও ল্যাব ওয়ান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেছেন মৃতের বাবা। জানা যায়, গত ২৪ জুন চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের আরামবাগের আবু সুফিয়ানের মেয়ে হাবিবা খাতুন মুক্তার (২৪) প্রসব বেদনা উঠে। ওই দিন বেলা ২টার দিকে তাকে ল্যাব ওয়ান মেডিকেল সার্ভিসেস-এ নেওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক শহীদুল ইসলাম রোগীর আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে বলেন। রিপোর্ট দেখে জানান, রোগীর নরমাল ডেলিভারি সম্ভব নয়; এখনই সিজার করতে হবে। আবু সুফিয়ান সিজার করতে বলেন। চিকিৎসক আর কোনো পরীক্ষা ছাড়াই তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান। অ্যানেসথেসিস্ট ডাক্তারের অনুপস্থিতিতে শহিদুল নিজেই রোগীকে অচেতন করার ইঞ্জেকশন দিলে তিন মিনিটের মধ্যে মুক্তার মৃত্যু হয়। ডা. শহিদুল ইসলাম জানান, রোগীর অবস্থা ভাল ছিল না। সিভিল সার্জন বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ববিতা (আট মাস) নামের এক শিশু চিকিৎসকের অবহেলায় মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে উপজেলা সদরের পশ্চিম কুট্টাপাড়া গ্রামের মন মিয়ার মেয়ে। গত বুধবার রাত আটটার দিকে ববিতা সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারা গেছে।  স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার সকালে শিশুটি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়। পরিবারের লোকজন তাকে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরিবারের লোকজনের অভিযোগ শিশুটিকে ভর্তির পর হাসপাতাল থেকে কোনো স্যালাইনও দেওয়া হয়নি। সব বাইরে থেকে কিনতে হয়েছে। সকালে ভর্তির পর থেকে শিশুটির অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছিল। এর পরও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কোনো চিকিৎসক শিশুটিকে একবারের জন্যও দেখতে যায়নি। রাত আটটার দিকে শিশুটির মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে শিশুর স্বজনদের উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এ সময় চিকিৎসক কাজী শামসুল আরেফিন ও কাজী মো. আইনুল ইসলাম হাসপাতাল ত্যাগ করে গা ঢাকা দেন। রাত সাড়ে নয়টার দিকে পরিস্থিতি শান্ত হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কাজী মো. আইনুল ইসলাম বলেন, এখানে দিন দশেক ধরে কলেরা রোগের কোনো আইভি স্যালাইন নেই। কিছু দিনের মধ্যে স্যালাইন সংকট দূর হবে।

সর্বশেষ খবর