শুক্রবার, ৩০ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

শতবর্ষী পুকুর ভরাট করে গুদাম নির্মাণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

শতবর্ষী পুকুর ভরাট করে গুদাম নির্মাণ

বালু ফেলে ভরাট করা হচ্ছে পুকুর —বাংলাদেশ প্রতিদিন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের ভেতরের শত বছরের পুরনো সরকারি পুকুর পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই ভরাট করা হচ্ছে। তিতাস নদী থেকে যন্ত্রের মাধ্যমে বালু ফেলা হচ্ছে পুকুরে। ইতিমধ্যে অর্ধেকের বেশি ভরাট হয়ে গেছে।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ৫০০ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন খাদ্য গুদাম নির্মাণ প্রকল্পের উদ্যোগ নেয় খাদ্য অধিদপ্তর। ওই গুদাম নির্মাণের জন্যই কার্যালয়ের ভেতরের পুরোনো পুকুর ভরাট করা হচ্ছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক আহসান আলী বলেন, ‘কার্যালয়ের ভেতরে পুকুর ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণে পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো ছাড়পত্র নেয়নি জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়। জলাধার সংরক্ষণ আইন-২০০০ অনুসারে কোনো পুকুর-জলাশয়, নদী-খাল ভরাট সম্পূর্ণভাবে বেআইনি।’ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাজ্জাত হোসেন বলেন, ‘পুকুরের মালিক খাদ্য গুদাম। নিজের জায়গায়ই তারা গুদাম নির্মাণের কাজ করছে।’ পুকুর ভরাটের বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে খাদ্য অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। প্রকল্প পরিচালক রেজাউল কারিমের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ হলে তথ্য নিতে তিনি ঢাকা খাদ্য অধিদপ্তরে যেতে বলেন।

সরজমিনে দেখা যায়, তিতাস নদীর শিমরাইলকান্দি এলাকার ভেতর দিয়ে বালু তুলে পাইপের মাধ্যমে পুকুরে ফেলা হচ্ছে। বালু ভরাট হয়ে গেছে পুকুরটির অর্ধেকের বেশি অংশ। অবশ্য পুরোপুরি ভরাটের আগেই পাইলিং করে পুকুরের পূর্বদিকে ইতিমধ্যে ২৬টি পিলার নির্মাণ করা হয়েছে। পুকুর ভরাট এবং খাদ্য গুদাম নির্মাণ কাজ একই সঙ্গে করা হচ্ছে। কয়েকজন শ্রমিক জানান, গত মার্চ মাস থেকে পুকুর ভরাটের কাজ শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে খাদ্য গুদাম নির্মাণ কাজও চলছে। পুকুর ভরাট শেষ করতে সপ্তাহ খানেক লাগবে।

সর্বশেষ খবর