মঙ্গলবার, ৪ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

ডিমলায় জমি নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আহত শতাধিক

নীলফামারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় জমি নিয়ে সংঘর্ষে ফজলে রহমান (৫৫) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছেন। সোমবার সকালে উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের নাউতারা বাজার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ফজলে ওই গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে। এ ঘটনায় আহত চারজনকে ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত আনিছুর রহমান ও স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৪৫), ছেলে নয়ন ইসলাম (২২) ও আনিছুরের বড় ভাই  জুয়েল রানাকে (৫০) ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকাবাসী জানান, গ্রামের বোরহান উদ্দীন ও আনিছুর রহমানের মধ্যে দেড় একর জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। সোমবার সকালে ওই জমি চাষের পর কয়েকজন  আমন ধানের চারা লাগাতে যান আনিছুর রহমান। এতে বোরহান উদ্দীন ও তার পরিবারের লোকজন বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে মারা যান ফজলে রহমান। নাউতারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, দেড় একর কৃষি জমি নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। সোমবার সকালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধলে   ফজলে রহমান নিহত হন। ডিমলা থানার ওসি  মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ হাসপাতালে রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য তা জেলার মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মোটরসাইকেলের হর্ন বাজানোকে কেন্দ্র করে দুই দল গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে শতাধিক লোক আহত হয়েছে। পুলিশ শতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। বাড়িঘর ভাঙচুর ও গণ লুট করে নিয়ে যায় দাঙ্গাবাজরা। এ সময় পুলিশ ২০ দাঙ্গাবাজকে আটক করেছে। গতকাল দুপুরে উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের বুধন্তি ও কেনা গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। জানা যায়, গতকাল সকালে উপজেলার কেনা গ্রামের শিমুর খার ছেলে  মোটরসাইকেল চালক সুজন বুধন্তি থেকে যাত্রী নিয়ে কেনা গ্রামে যাওয়ার সময় হর্ন বাজানোকে কেন্দ্র করে বুধন্তি গ্রামের আবদুলের ছেলে মিজান ও তার লোকজন মারধর করে। এ ঘটনায় বুধন্তি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিতু মিয়া বিষয়টি বিকালে বসে সমাধান করবেন জানিয়ে দুজনকে যার যার কাজে যেতে বলেন। পরে বুধন্তির ছোয়াব মিয়া দুপুরে মোটরসাইকেল নিয়ে কেনা বাজারে গেলে সুজনের লোকজন তাকে আবার মারধর করে। পরে ঘটনাটি মসজিদের মাইক দিয়ে এলাকায় ঘোষণা করে লোকজনকে জানানো হয়। এ সময় কেনা গ্রামের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী তালতলা, মেরাশানী ও সেমড়া গ্রামের লোকজনও যোগ দেয়। বেলা ১২টার দিকে চার গ্রামের লোকজন দা, বল্লাম, ছুরি, লাঠিসোঁটাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বুধন্তি গ্রামের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। পরে বুধন্তি গ্রামের লোকজনও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। হামলায় বুধন্তি গ্রামের ২০-২৫টি বাড়িঘর ভাঙচুরসহ ১৫-২০টি গরু চুরি করে নিয়ে যায় প্রতিপক্ষ।

সর্বশেষ খবর