বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

কুষ্টিয়ায় সাত ব্যক্তি অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত!

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের গোবরগাড়া গ্রামের সাত ব্যক্তি অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে দুই শিশুও রয়েছে। আক্রান্ত সবাই স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। জানা যায়, ঈদুল ফিতরের দুই দিন পর গোবরগাড়া গ্রামের নাহারুল ইসলামের একটি অসুস্থ গরু জবাই করে মাংস গ্রামের লোকজনের কাছে বিক্রি করা হয়। এ মাংস খাওয়ার ৩-৪ দিন পর ওই এলাকার আট ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রথমে তাদের জ্বর পরে শরীরের বিভিন্ন স্থনে ক্ষত দেখা দেয়। আক্রান্তরা হলেন মাহাবুল ইসলাম (৩৮) ও তার স্ত্রী, শিশু আশিক (৮), রিজভি (৯), জাহানারা খাতুন (৩৭), রাফুল ইসলাম (৪০) ও এনামুল (৩২)। তারা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিলেও শরীরে ঘা রয়ে গেছে। গরুর মালিক নাহারুল ইসলাম জানান, ঈদের দুই দিন পর তার পোষা গাভী অসুস্থ হয়ে পড়ে। গ্রামের লোকজন গরুটি জবাই করে মাংস বিক্রি করে দেয়। গরু জবাইয়ের চার দিন পর কয়েকজনের শরীরের ঘা হয়। পরে জানতে পরেন তার গরুর মাংস খেয়েই নাকি এ রোগ হয়েছে। দৌলতপুর প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কাজী নজরুল ইসলাম এতে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, গোবরগাড়া গ্রামের পশুর শরীরের অ্যানথ্রাক্সের টিকা বা ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যাতে এ রোগ অন্য কোনো পশুর শরীরে ছড়াতে না পারে। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. অরবিন্দ পাল বলেন, ঘটনাটি শোনার পর তিনি মেডিকেল টিম গঠন করেছেন। আক্রান্তদের চিকিৎসায় ওই টিম বুধবার থেকে কাজও শুরু করেছে।

সর্বশেষ খবর