কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) পরিকল্পনা উন্নয়ন উপ-পরিচালক রেজাউল করিম মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় চাকরি নেন। পরে প্রমাণিত হয় তার মুক্তিযোদ্ধা সনদ ভুয়া। তিনি বর্তমানে ইবি ভিসির পিএস হিসেবে কর্মরত আছেন। তবে রেজাউল করিম বলেন, ‘আমার দাখিলকৃত মুক্তিযোদ্ধা সনদ সঠিক আছে। আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য একটি মহল উঠেপড়ে লেগেছে।’ জানা যায়, ২০১০ সালে ১০ মে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে ইবিতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় চাকরি পান রেজাউল করিম। এরপর ইবি রেজিস্ট্রার সনদ যাচাইয়ের জন্য মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠান। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় দীর্ঘ তদন্ত শেষে দাখিল করা প্রতিবেদনে রেজাউলের বাবার মুক্তিযোদ্ধা সনদটি সঠিক নয় বলে উল্লেখ করে। পরে রেজাউল হাতে হাতে আরেকটি চিঠি নিয়ে মন্ত্রণালয়ে যান এবং তার পিতার সনদপত্র সঠিক বলে ২০১১ সালে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব বোরহান উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত একটি চিঠি বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দেন। রেজাস্ট্রার এসএম আব্দুল লতিফ জানান, উক্ত নিয়োগে যারা মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নিয়েছেন তাদের সনদ যাচাইয়ের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিলাম। এরমধ্যে রেজাউল করিমসহ তিনজনের সনদ সঠিক নয় বলে মন্ত্রণালয় চিঠি দিয়ে জানিয়েছে।