শরীয়তপুরে প্রায় একই বয়সের ছয় শিশু সম্প্রতি অপহরণের শিকার হয়। এদের কেউ প্রাণে বেঁচে গেলেও লাশ উদ্ধার হয় দুজনের। তাদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ পাওয়া যায়নি। একজন এখনো নিখোঁজ। ঘটনাগুলো ঘটে গত ২১ দিনের মধ্যে। এ নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। উদ্বেগ-উত্কণ্ঠা দেখা দিয়েছে অভিভাবক মহলে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। শিশু হত্যায় জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি সচেতন মহলের। গত ২২ জুলাই সদর উপজেলার সখীপুর ছৈয়াল কান্দি গ্রাম থেকে লিজা আক্তার (১০) নামে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই ছাত্রীর শরীরে কিডনি, লিভার ও ফুসফুসসহ বিভিন্ন অঙ্গ পাওয়া যায়নি। এর দুই দিনের মাথায় ২৪ জুলাই একই উপজেলার পশ্চিমভাষানচরে পাওয়া যায় ওসমানগনি (১২) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রের মরদেহ। তার বাম চোখ পাওয়া যায়নি। শ্বাসনালী ও রক্তনালী কাটা ছিল। গত ৭ জুলাই সখীপুর ডিএম খালী ওহাব ঢালীকান্দি গ্রামের মাদ্রাসাছাত্র সিয়াম নিখোঁজ হয়। এখনও তার সন্ধান মেলেনি। এছাড়া ২২, ২৩ জুলাই ও সর্বশেষ গতকাল কৌশল খাটিয়ে ও পথচারীদের সহয়তায় অপহরণকারীদের হাত থেকে রক্ষা পায় তিন শিশু। শহরের কালেক্টরেট পাবলিক হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আরিফ উদ্দিন বলেন, ‘এভাবে শিশু নিখোঁজ, তাদের লাশ উদ্ধার হওয়া ও গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ না পাওয়ার ঘটনা উদ্বেগজনক। তার ওপর আমার স্কুলের এক ছাত্রকে তুলে নেওয়ার চেষ্টার ঘটনায় সব শিশু ও অভিভাবকের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। শরীয়তপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার এহসান শাহ জানান, ঘটনাগুলো কাছাকাছি সময়ে ঘটায় মানুষের মনে শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। এ সব বিচ্ছিন্ন ঘটনা, আতঙ্কিত হওয়ার মতো ব্যাপার নয়। মানুষ যাতে স্বস্তিতে থাকতে পারে সে জন্য পুলিশ কাজ করছে। সব ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ পুলিশ কমকর্তা বলেন, ‘ইতোমধ্যে লিজা হত্যার দুই আসামি জাকির ও ফরিদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে শিশুটিকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।