কুড়িগ্রামে বন্যার পানি নামার সঙ্গে ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা নদীতে ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে রৌমারী, রাজীবপুর, রাজারহাট ও সদর উপজেলার শত শত ঘরবাড়ি। জুলাইয়ে শুরু হওয়া এ ভাঙনে বাড়িঘর ছাড়াও দুই উপজেলার কাঁচা-পাকা সড়ক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ফসলি জমি নদীর পেটে চলে গেছে। শুধু সদর ও রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের তৈয়ব খাঁ গ্রামের প্রায় চার শ বসতবাড়ি তিস্তার ভাঙনে বিলীন হয়েছে। রৌমারী উপজেলার ভাঙনকবলিত এলাকাগুলো হলো ইটালুকান্দা, সাহেবের আলগা, চর গেন্দার আগলা, চর ঘুঘুমারী, ঘুঘুমারী, খেরুয়ার চর, পূর্ব খেরুয়ার চর, পূর্ব খেদাইমারী, উত্তর খেদাইমারী, পশ্চিম পাখিউড়া, পাখিউড়া, পশ্চিম বাগুয়ার চর, বাগুয়ার চর, বাইসপাড়া, বলদমারা, পূর্ব বলদমারা, ধনার চর, ধনার চর নতুন গ্রাম, দিগলাপাড়া, তিনতেলী। রাজীবপুর উপজেলায় ভাঙনের কবলে পড়েছে শঙ্করমাদবপুর, সাজাই, চর সাজাই, বল্লাপাড়া, উত্তর কোদালকাটি, নয়ার চর, নয়ার চর বাজার, মাঠের ভিটা, লাউশালা, টাঙ্গইলাপাড় গ্রাম। জানা যায়, প্রতি বছর এ দুটি নদীর ভাঙনের ফলে ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গাছপালা বিলীন হচ্ছে। মানুষ বাপ-দাদার ভিটেমাটি হারিয়ে পরিণত হচ্ছে ভূমিহীনে। অনেকে সর্বস্ব হারিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন উঁচু বাঁধ, অন্যের জমি ও স্বজনদের বাড়িতে। দ্রুত ভাঙন রোধে পদক্ষেপ না নিলে রৌমারী উপজেলা পরিষদ ভবনসহ সরকারের কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদ নদীর পেটে চলে যাওয়ার অশঙ্কা রয়েছে। রৌমারী উপজেলা চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বলেন, ‘নদী ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। ভাঙন অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে রৌমারী উপজেলা মানচিত্র থেকে বিলীন হয়ে যাবে।’ কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ভাঙন রোধে জরুরি ভিত্তিতে কাজ করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখেছি। বরাদ্দ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’