পাহাড় ধসের প্রায় তিন মাস পর রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে ভারী যান চলাচল শুরু হয়েছে। গতকাল বেলা ১১টায় সাপছড়ি শালবনে সড়কের বিধ্বস্ত অংশে নবনির্মিত বেইলি ব্রিজ খুলে দেন রাঙামাটি সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী এমদাদ হোসেন। এ সময় রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাব-অ্যাসিসটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার আবু মোছা ও প্রেস ক্লাব সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘদিন পর সড়কটি চালু হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস নেন রাঙামাটি বাস-ট্রাক মালিকসহ ব্যবসায়ীরা। আবু মোছা জানান, গত ১৩ জুন পাহাড় ধসে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের সদর উপজেলার সাপছড়ি শাল বাগানে ১০০ মিটার ১০০ ফুট খাদে বিলীন হয়ে যায়। এছাড়া সড়কটির ৪৫ স্থান বিধ্বস্ত হয়। এ সময় রাঙামাটির সঙ্গে চট্টগ্রাম ও ঢাকাসহ অন্য জেলার সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সেনাবাহিনীর প্রচেষ্টায় পাহাড়ধসের আট দিনের মধ্যে সড়কটি হালকা যান চলার উপযোগী করা হলেও ভারী যান চলা নিষিদ্ধ ছিল। বিকল্প হিসেবে শাল বাগানে বিধ্বস্ত অংশে দুই কোটি ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় বেইলি ব্রিজ। প্রসঙ্গত, ওই পাহাড়ধসে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কসহ জেলার মূল ছয়টি সড়ক ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সব সড়কের ১৪৫ স্থানে ও ৭৯ স্পটে ধস হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত সব সড়ক মেরামত কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা হবে বলে জানায় সওজ।