রবিবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

গোপন টেন্ডারে বরাদ্দ লোপাট, তোলপাড়

খাগড়াছড়ি স্বাস্থ্য বিভাগ

খাগড়ছড়ি প্রতিনিধি

খাগড়াছড়ি স্বাস্থ্য বিভাগের আওতায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ে যানবাহন মেরামতের জন্য আসা ১২ লাখ টাকা গোপন টেন্ডারে ও সিভিল সার্জনের স্বাক্ষর জাল করে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। খাগড়াছড়ি থাকাকালে (বর্তমানে কক্সবাজারে) সিভিল সার্জন আবদুস সালামের স্বাক্ষর জাল করে একটি চক্র এ ঘটনা ঘটায়। এ নিয়ে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায়, গত ৭ জুন স্বারক নং-সি এস/খাগড়াছড়ি/অ্যম্বুলেন্স মেরামত/২০১৭/২৯৮১ মূলে ঠিকাদার জসিম উদ্দীনকে সিভিল সার্জন আবদুস সালামের স্বাক্ষরে (জাল) কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। এতে ১৫ দিনের মধ্যে (৭ জুন থেকে) সদর হাসপাতাল, পানছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও লক্ষীছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তিনটি অ্যাম্বুলেন্স এবং সিভিল সার্জন অফিসের জিপ মেরামতের নির্দেশ দেয়। সিভিল সার্জন আবদুস সালাম বিষয়টি জেনে কক্সবাজার থেকে খাগড়াছড়ি আসেন। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, অত্র অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাহেদ হোসেন, হিসাবরক্ষক প্রিয় রনজন, রেজাউলসহ কয়েকজন তার স্বাক্ষর জাল করে পৌনে ১২ লাখ টাকা আত্মসাত করে। তিনি এ বিষয়ে ঢাকার স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক ও দুদকে অভিযোগ করবেন। জানা যায়, তিনটি বিলে ট্রেজারি চেকের মাধ্যমে ঠিকাদার জসিম এ টাকা উত্তোলন করেন। এ বিষয়ে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের টেন্ডার কমিটির আহ্বায়ক পরিষদ সদস্য জব্বার জানান, তারা কোনো যানবাহন মেরামতের টেন্ডার করেননি। একই কথা বলেন টেন্ডার কমিটির আরেক সদস্য ডা. টুটুল চাকমা। খাগড়ছড়ির বর্তমান সিভিল সার্জন শওকত হোসেন জানান, যানবাহন মেরামতের ব্যয় দেখিয়ে আগের সিভিল সার্জনের স্বাক্ষর জাল করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হিসাবরক্ষক প্রিয় রনজন যানবাহন মেরামতের বিল প্রদানের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘কী ঘটেছে তা আমি জানি না। সব জানেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা।’

সর্বশেষ খবর