বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
ফেরি আটকে সীমাহীন দুর্ভোগ

কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া রুটে ডুবোচরে বেসামাল অবস্থা

মাদারীপুর প্রতিনিধি

পদ্মা নদীর নাব্য সংকটে বেসামাল অবস্থায় পড়েছে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুট। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরি আটকে থাকায় সীমাহীন দুর্ভোগে ভুগছেন যাত্রীরা। এর জন্য দায়ী করা হচ্ছে ড্রেজিংয়ের অব্যবস্থাপনাকে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এই সংকট নিরসনের জন্যে সময় লাগবে আরও অন্তত সপ্তাহ খানেক। তবে দ্রুত সমস্যা সমাধানের দাবি চালক ও যাত্রীদের। গতকাল সরজমিনে দেখা গেছে, পদ্মার পানি কমে আসছে। তবে স্রোত এখনো কমেনি। স্রোতের সঙ্গে পদ্মায় বয়ে আসছে পলি। এই পলি মাটি জমছে নদীর দুই পাড়ে। কোথাও  কোথাও রয়েছে অসংখ্য ডুবোচর। আর সেই ডুবোচরে আটকে থাকতে হচ্ছে ফেরিগুলোকে। ফলে গত কয়েকদিনে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে দেশের অন্যতম নৌরুট কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া ফেরি ঘাটে। বাধ্য হয়ে  দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট হয়ে যেতে হচ্ছে দক্ষিণাঞ্চলবাসীকে। এতে ঘাট এলাকায় দেখা দিয়েছে সীমাহীন দুর্ভোগ। এর জন্য দায়ী করা হচ্ছে ড্রেজিং অব্যবস্থাপনাকে। করিম খান নামে এক যাত্রী জানান, বছর বছর এই নদী খনন করা হয়। এরপরও নাব্য সংকট থেকেই যায়। ড্রেজিংয়ে গাফলতির কারণেই এই নাব্য সংকটের সৃষ্টি হচ্ছে। ফেরিচালকরা জানান, চ্যানেলটির প্রবেশমুখ প্রশস্ত ও গভীরভাবে খনন করা হলে যানবাহন পারাপার নির্বিঘ্ন হবে। তবে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌপথে নিয়মিত চলাচলকারী নৌযানের কয়েকজন চালকের অভিযোগ, পানি কমার সময় এই ড্রেজিংয়েই নদী পারাপারে বিপত্তি ডেকে আনে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চালক বলেন,  লৌহজং চ্যানেল হয়ে পদ্মা সেতু প্রকল্পের জন্য যেতে হয় জাজিরা প্রান্তের। মালামাল পরিবহনের জন্য চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না সিনোহাইড্রো কোম্পানি নিজেদের ড্রেজার দিয়ে নদী খনন করছে। নদীর তলদেশ দিয়ে পাইপ ঢুকিয়ে পলি মেশানো পানি চরের মাঝখানে ফেলে থাকে তারা। এতে ফেরি বা লঞ্চ চলাচলে অসুবিধা হয় না। কিন্তু বিআইডব্লিউটিএ এর ড্রেজারগুলো থেকে পলি ফেলে দেয় চরের ধারে কিংবা চ্যানেলের একেবারে মুখে। এ কারণে পলি আবারও জমে যায়।

সর্বশেষ খবর