ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশের মধ্যদিয়ে রাঙামাটিতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপিত হয়েছে। তবে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর নৃশংসতার প্রতিবাদে উৎসবের মূল আকর্ষণ ‘ফানুস ওড়ানো’ হয়নি এবার। গতকাল ভোরে রাঙামাটি রাজ বন বিহারে শুরু হয় প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসব। বুদ্ধ পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সূচনা হয় উৎসবের। এরপর ভিক্ষু সংঘের পিণ্ডদান ও প্রাতঃরাশ, বুদ্ধপূজা, অষ্ট পরিষ্কার দান, সংঘদান, উৎসর্গসহ ভক্ত ও পুণ্যার্থীদের বনভান্তের ধর্মীয় দেশনা দেওয়া হয়। এ সময় দূর-দূরান্ত থেকে বিহারে আগত পুণ্যার্থীদের ঢল নামে। অনুষ্ঠানে সমবেত পুণ্যার্থীদের উদ্দেশে বুদ্ধের অহিংসা পরম নীতি এবং বনভান্তের আদর্শে হিংসা, রাগ, অহংকার, লোভ, মোহ ও মিথ্যা দৃষ্টি পরিহার করে নিজেকে সর্বদা সত্পথে পরিচালিত করার হিতোপদেশ দেন ভিক্ষুসংঘ। সাধারণত প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসবের মূল আকর্ষণ ফানুস। কিন্তু এবার উৎসবে রাঙামাটির আকাশে ওড়েনি কোনো ফানুস। পার্বত্যাঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মধ্যে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণীরা হাজার প্রদীপ প্রজ্বালনের মধ্যদিয়েই পালন করেছে দিনটি। তাই এবার প্রবারণা পূর্ণিমায় ছিল না তেমন উৎসবের আমেজ। রাঙামাটি রাজ বনবিহার উপাসক-উপাসিকা পরিষদের সভাপতি গৌতম দেওয়ান জানান, রাঙামাটি রাজ বন বিহারে ধর্মীয় রীতি-আচার সবই পালন করা হয়েছে। তবে বাতিল করা হয়েছে ফানুস ওড়ানো পর্বটি। মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর নৃশংসতার প্রতিবাদে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।