শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

পানিতে লুটোপুটি খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন

সারা দেশে ঝড় বৃষ্টির প্রভাব

প্রতিদিন ডেস্ক

গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে শনিবার পর্যন্ত টানা বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘরবাড়ি ও ফসলের কমবেশি ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে বগুড়া ও নাটোরে এখনো পানির নিচে শত শত হেক্টর জমির আমন ধান ও সবজি। ফসল রক্ষায় দিশাহারা ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা। নোয়াখালীতে জোয়ারে পাঁচ হাজার গবাদি পশু ভেসে গেছে বলে জানা গেছে। ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরামে অপরিবর্তিত রয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের খবর— বগুড়া : শেরপুরে আগাম জাতের ধান পাকা শেষে কাটার অপেক্ষায় থাকা চাষিদের মাথায় বাজ পড়েছে। টানা বৃষ্টিতে ডুবে গেছে উপজেলার শত শত বিঘা জমির ধান। পাকা আমন ও সবজি খেতের মতোই পানিতে লুটোপুটি খাচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের স্বপ্ন। উপজেলা কৃষি সমপ্রসারণ অধিদফতর বলছে, ঝড়ো হাওয়া ও ভারী বর্ষণ হলেও আমনের তেমন ক্ষতি হবে না। স্থানীয় কৃষি অফিস জানায়, চলতি মৌসুমে শেরপুরে ১৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আমন ও এক হাজার ৮০ হেক্টরে সবজি চাষ হয়েছে। ভারী বর্ষণ ও বাতাসে এসব জমির ফসল কমবেশি ক্ষতি হয়েছে। নাটোর : লালপুরে টানা বৃষ্টিতে সবজি ও রোপা আমন চাষীদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার কদিমচিলান গ্রামে ৩০০ বিঘা জমির সবজি এখনও পানির নিচে। স্বপ্ন বাঁচাতে কৃষকেরা দিনরাত সেচ দিয়ে পানি সরানোর কাজ করছেন। সরেজমিন উপজেলার কদিমচিলান, দুয়ারিয়া, ওয়ালিয়া ও বিলমাড়িয় এলাকায় দেখা গেছে, ফুলকপি, ঢেঁড়শ, বেগুন, উচ্ছে, শসা খেতসহ  আমন ধানের খেতে পানি জমে আছে।  কোথাও পানিতে ডুবে গেছে সবজি ও ধান। চাষীরা শ্যালো মেশিনের মাধ্যমে পানি পচা বড়াল নদীতে বের করার চেষ্টা করছেন। নোয়াখালী : সাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে গত শনিবার বিকালে ৫-৬ ফুট উচ্চতায় জোয়ারে পানি আছড়ে পড়ে কোম্পানীগঞ্জের উপকূলীয় এলাকায়। পানির তোড়ে চার হাজার ৮০০টি মহিষ ও ৯৯৩টি গরু ভেসে গেছে বলে দাবি ভুক্তভোগীদের। এ ঘটনায় খামার মালিকেরা কোম্পানীগঞ্জ থানায় ২৭টি জিডি করেছেন। জানা যায়, ভেসে যাওয়া গবাদি পশুর মধ্যে কিছু মারা গেছে। বাকিগুলো চট্টগ্রামের আনোয়ারা, ইছাখালী, সিতাকুণ্ড, মিরসরাই, বাঁশবাড়িয়া ও সন্দ্বীপের চরে গিয়ে ভিড়েছে। কিন্তু মালিকরা এসব পশু আনতে গেলে স্থানীয়রা চাঁদা দাবি করছে। ফেনী : টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট ফুলগাজী ও পরশুরামের ১৮ গ্রামের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর ভাঙা বাঁধের ১১টি পয়েন্ট দিয়ে পানি প্রবেশ করায় গ্রামগুলো প্লাবিত হয়। বন্যার কারণে ৪২টি স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তলিয়ে আছে দুই উপজেলার ৫৮০ হেক্টর আমন। পানিবন্দী রয়েছে দুই হাজার পরিবার।

 

সর্বশেষ খবর