রবিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

নামেই পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর নাকুগাঁও

নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি

নামেই পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর নাকুগাঁও

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে নাকুগাঁও স্থলবন্দর —বাংলাদেশ প্রতিদিন

২৭৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নকলা থেকে নালিতাবাড়ী নাকুগাঁও স্থলবন্দর সড়কের ২৯ দশমিক পাঁচ কিলোমিটার দুই লেন সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। রয়েছে কাস্টমস অফিস থেকে শুরু করে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দরের সব সুবিধা। এ সবের জন্য সরকারিভাবে অবকাঠামো হওয়ার পরও ছয় মাস ধরে নাকুগাঁও বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে। সদ্য বাংলাদেশ সফরে আসা ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে জেসিসি বৈঠকে নাকুগাঁও থেকে ভারতের ডালু হয়ে ভুটানের গেলিফুং পর্যন্ত বাণিজ্য কানেকটিভিটির প্রস্তাব করা হয়। ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী এখন এর দ্রুত বাস্তবায়ন চান।

জানা যায়, ২০১১ সালের ৩১ ডিসেম্বর নাকুগাঁওকে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর হিসেবে ঘোষণা করেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান। বর্তমানে এটি নামেই পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর। এ বন্দর দিয়ে ইমিগ্রেশন থাকায় দিনে ১০-১২ জন ভ্রমণকারী ভারতে যাওয়া আসা ছাড়া আর কোনো কাজ নেই। বন্দরটি বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন প্রায় তিন হাজার শ্রমিক। কাস্টমস কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীরা জানান, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে নকুগাঁও কাস্টমস দুই কোটি ২৪ লাখ এবং বন্দর ৬৮ লাখ টাকা রাজস্ব আয় করেন। গত মার্চ থেকে কয়লা ও পাথর আমদানি বন্ধ থাকায় কোনো রাজস্ব নেই। তাদের ভাষ্য, ভারত থেকে এ বন্দর দিয়ে ১৯টি পণ্য আমদানির অনুমতি থাকলেও বন্দরটি শুধু কয়লা ও পাথরের উপর নির্ভশীল। অন্যসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে গবাদিপশু, মাছের পোনা, তাজা ফল, গাছ, বীজ, রাসায়নিক সার, চায়না ক্লে, টিম্বার, চুনাপাথর, পিয়াজ, মরিচ, রসুন, আদা, বল ক্লে ও কোয়ার্টজ। এ সব পণ্য আজ পর্যন্ত কোনো ব্যবসায়ী আমদানি করেননি।

নাকুগাঁও আমদানি-রফতানি কারক সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল বলেন, ‘বন্দরটি সব সময় চালু রাখার জন্য সমিতির পক্ষ থেকে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। এখানে কোয়ারেন্ট (সংনিরোধ) অফিসার না থাকায় আদা, রসুন আমদানি করা যাচ্ছে না।’ বন্দর ইন্সপেক্টর আবদুল বাকী বলেন, ‘গত মার্চ থেকে পাথর ও মে মাস থেকে কয়লা আমদানি বন্ধ থাকার পর সামান্য পরিমাণে সিমেন্ট, প্লাস্টিক পণ্য এবং টাঙ্গাইলের শাড়ি ভারতে রফতানি করা হয়েছে। বন্দরটি সব সময় যেন কর্মচঞ্চল থাকে সমিতির পক্ষ থেকে সেজন্য জোরালো পদক্ষেপ দরকার।’ কাস্টম ইন্সপেক্টর রেজাউল করিম জানান, ভারতের সমস্যার কারণে কয়লা ও পাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে। আগামী নভেম্বর বা ডিসেম্বরে কয়লা ও পাথর আমদানি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

সর্বশেষ খবর