শনিবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

ইটভাটায় কমছে কৃষি জমি দূষিত হচ্ছে পরিবেশ

মানিকগঞ্জ

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জে মাত্র ৯৯ হাজার ৮৫০ হেক্টর কৃষি জমি। নদী ভাঙনের ফলে প্রতিবছর কৃষি জমি কমে যাচ্ছে। তার ওপর নিয়মনীতি না মেনে তিন ফসলি জমিতে যত্রতত্র হচ্ছে ইটভাটা। ফলে কৃষক হারাচ্ছে জমি। বিষাক্ত হচ্ছে পরিবেশ। এভাবে চলতে থাকলে খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। জানা যায়, জেলায় শতাধিক ইটভাটা রয়েছে। যার বেশিরভাগেরই পরিবেশ ছাড়পত্র নবায়ন করা নেই। অনুমোদন ছাড়াও চলছে বহু ভাটা। এছাড়া প্রতিবছর বিভিন্ন এলাকায় নিয়মের তোয়াক্কা না করে ইটভাটা নির্মাণ করা হচ্ছে। ফসলি জমিতে ছাড়াও অনেক ভাটার পাশে রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বসতবাড়ি। অদৃশ্য কারণে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। মানিকগঞ্জের দিঘী ইউনিয়নের বাটবাউর মৌজায় নতুন ইট ভাটা নির্মাণকে কেন্দ্র করে কৃষক ও ভাটার মালিকের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে। কৃষকরা ফসলি জমিতে ভাটা না করার জন্য ২৪৭ জন স্বাক্ষরিত পত্র জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদফতরসহ বিভিন্ন দফতরে আবেদন করেছেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত রবিবার সরেজমিন তদন্ত করেন সদর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা। কৃষক আব্দুস সামাদ বলেন, বিভিন্ন কারণে কৃষি জমি দ্রুত কমে যাচ্ছে। তার উপর তিন ফসলি জমিতে নতুন করে ইটভাটা করলে আমরা নিঃশেষ হয়ে যাব’। তিনি আরো বলেন, মানিকগঞ্জ পরিবেশ অধিদফতর থেকে সহকারী পরিচালক সাইদ আনোয়ার ২৫ অক্টোবর স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে উল্লিখিত স্থানে ইটভাটা না করার নির্দেশ দিয়েছেন। ভাটামালিক ফজলুল হক বলেন,  ‘সরকারের নিয়ম মেনেই আমি ইটভাটা করবো। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। একই মৌজায় ইরি জমিতে নতুন নতুন  ইটভাটা হচ্ছে সেগুলো বন্ধ না করে আমারটি বন্ধের পাঁয়তারা চলছে। আইন সবার জন্য সমান হওয়া উচিৎ’। সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা নাজিম উর রউফ খান জানান, একাধিক ফসলি জমিতে ভাটা করার বিধান নেই। কৃষকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরেজমিন তদন্ত করেছি। খুব দ্রুত প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হবে।

সর্বশেষ খবর