গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতাল পল্লীতে হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও তিন সাঁওতাল হত্যার বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গতকাল গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ বাগদা-ফার্মের সাপমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক সমাবেশে সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা প্রবীণ শ্রমিক নেতা মঞ্জুরুল আহসান খান বলেন, এদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া সাঁওতালদের ভূমি অবিলম্বে ফিরিয়ে দিতে হবে। সাঁওতাল হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আসামিদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। লাল পতাকা হাতে কয়েক হাজার সাঁওতালের এক বিশাল শোক র্যালি সাঁওতাল পল্লী মাদারপুর ও জয়পুর প্রদক্ষিণ শেষে সাহেবগঞ্জ-বাগদা ফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সহ-সভাপতি ফিলিমন বাসেকর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পঙ্কজ ভট্টাচার্য, রবীন্দ্রনাথ সরেন, রিনা মার্ডি, রাফাইল হাযা প্রমুখ।
সমাবেশে পঙ্কজ ভট্টাচার্য বলেন, গত বছর ৬ নভেম্বর আদিবাসী পল্লীতে পুলিশের গুলিতে সাঁওতাল শ্যামল হেমরম, মঙ্গল মার্ডি ও রমেশ টুডু নিহত হন। স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ একটি মহল যে অন্যায় করেছেন অবিলম্বে তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে।
গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতাল পল্লীতে হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও তিন সাঁওতাল হত্যার বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্ম-ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, বাংলাদেশ আদিবাসী ইউনিয়ন, জনউদ্যোগ ও আদিবাসী বাঙালি সংহতি এই শোক র্যালি ও সমাবেশের আয়োজন করে। সাঁওতাল নেতা ফিলিমন বাসেক বলেন, অবিলন্বে পৈতৃক সম্পত্তি ফেরত ও সাঁওতাল হত্যাকাণ্ডের আসামিদের গ্রেফতার করা না হলে আগামীতে সাঁওতাল-বাঙালিরা মিলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলে সরকারকে বাধ্য করা হবে।