রবিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

দারোগা ছেলের বিরুদ্ধে পরোয়ানা তবু গ্রেফতার করছে না পুলিশ

পিতার অভিযোগ

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

জমি লিখে না দেওয়ায় আবদুল মালেককে মারপিট করেছেন তার নিজের ছেলে। এখন খুন জখমেরও হুমকি দিচ্ছেন। শুধু তাই নয়, বাড়ির বাথরুম আর টিউবওয়েলও ব্যবহার করতে দিচ্ছেন না। ছেলে দারোগা। এ ব্যাপারে আদালতে মামলা করলে ছেলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হলেও পুলিশ তাকে ধরছে না। কিশোরগঞ্জ প্রেস ক্লাবে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করলেন সদর উপজেলার খিলপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আবদুল মালেক।

অভিযুক্ত ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর। কর্মস্থল ঢাকার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স। সংবাদ সম্মেলনে আবদুল মালেক জানান, বাড়ির সামনের একটি দোকান শহিদুলকে লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দিয়ে আসছিলেন। তিনি তাতে রাজি না হওয়ায় শহিদুল তার ছোট ভাই আবদুর রশিদকে পিতার বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেন। কিছু দিন আগে রশিদ শহরের বড় বাজারের দোকানে পিতাকে রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করেন। গত ৮ অক্টোবর শহিদুল বাড়ি এসে দোকান লিখে দিতে চাপ দিতে থাকেন। একপর্যায়ে শহিদুল মারমুখী হলে তিনি একটি ঘরে গিয়ে আশ্রয় নেন। ঘরে ঢুকে পিতাকে মারপিট এবং ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন। এ সময় দলিলপত্র ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও নিয়ে যান। এ ব্যাপারে আবদুল মালেক সম্প্রতি কিশোরগঞ্জ ১ নং আমলি আদালতে মামলা করেন।

মামলায় আসামি করা হয় ছেলে শহিদুল ও রশিদকে। গত ২৬ অক্টোবর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।

এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ওসি খোন্দকার শওকত জাহান জানান, গ্রেফতারি পরোয়ানার কোনো কাগজপত্র থানায় পৌঁছেনি। শহিদুল ইসলামের কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করে বলেন, ঘটনার দিন তিনি কর্মস্থলে ছিলেন। তিনি আরও বলেন, তার মেজ ভাই মুর্শেদের সঙ্গে দোকান নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে। এ নিয়ে ছোট ভাই রশিদকে তিনি সহায়তা দেওয়ায় তারা ক্ষিপ্ত হন। গ্রেফতারি পরোয়ানার বিষয়ে তিনি বলেন, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাগজপত্র নিয়ে আদালতে হাজির হব।

সর্বশেষ খবর