শিরোনাম
বুধবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

দক্ষ শিক্ষকের অভাবে মাল্টিমিডিয়া পদ্ধতির ক্লাস হচ্ছে না

আমতলী

আমতলী প্রতিনিধি

বরগুনার আমতলী উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দক্ষ শিক্ষকের অভাব ও যন্ত্রাংশ নষ্ট থাকায় মাল্টিমিডিয়া পদ্ধতিতে ক্লাস হচ্ছে না। এতে মুখ থুবড়ে পড়েছে ডিজিটাল শিক্ষা কার্যক্রম।

জানা গেছে, আমতলী উপজেলায় ১৫২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সহায়তায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আমতলী বন্দর মডেল, আমতলী একে পাইলট সংলগ্ন ঘটখালী, পূর্ব চাওড়া, গাজীপুর বন্দর, দক্ষিণ কাঠালিয়া, পূর্ব চুনাখালী, চুনাখালী বোর্ড, আমড়াগাছিয়া ও দক্ষিণ রাওঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া পদ্ধতির ক্লাসের আওতায় আনা হয়েছে। এ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ল্যাপটপ, মডেম, প্রজেক্টর, প্রজেক্টর স্কিন ও সাউন্ড সিস্টেমসহ মাল্টিমিডিয়া পদ্ধতিতে ক্লাসরুমে শিক্ষার্থীদের আনন্দঘন শিখন পরিবেশ নিশ্চিত করেছে। মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম সক্রিয় রাখার জন্য জেলা প্রশাসক ও জেলা শিক্ষা অফিসের সমন্বয়ে মনিটরিং বোর্ড গঠন করা হয়। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট উপজেলা মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম মনিটরিং কমিটি কাজ করছে। এ কমিটির আহ্বায়ক উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সদস্যসচিব প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার।

আমতলীর ১৫২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আইসিটির দক্ষ শিক্ষক নেই। এটুআই প্রোগ্রামের আওতায় শিক্ষকদের ১২ দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। অল্প দিনের প্রশিক্ষণে পাওয়ার পয়েন্ট প্রোগামের  মাধ্যমে কনটেন্ট ও স্লাইট তৈরি করে শিক্ষার্থীদের কাছে সুন্দরভাবে উপস্থাপনে যথেষ্ট সক্ষম নন। ১২ দিনের প্রশিক্ষণ কোনো কাজে আসছে না। অনেক প্রতিষ্ঠানে কারিগরি ত্রুটির কারণে দুই বছর ধরে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস নেওয়া বন্ধ রয়েছে। আমতলী বন্দর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেন খাঁন বলেন  ল্যাপটপ ও প্রজেক্টর বিকল থাকায় গত দু বছর ধরে মাল্টিমিডিয়া পদ্ধতিতে পাঠদান করানো সম্ভব হচ্ছে না।  আমতলী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. মজিবুর রহমান জানান অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দক্ষ শিক্ষক নেই। তিনি আরো বলেন অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ল্যাপটপ ও প্রজেক্টর নষ্ট থাকায় মাল্টিমিডিয়া পদ্ধতির ক্লাস কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর