সোমবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

হার না মানা বীথি যখন অটোচালক

নাটোর প্রতিনিধি

হার না মানা বীথি যখন অটোচালক

ভ্যানচালক বীথি —বাংলাদেশ প্রতিদিন

কখনো তিনি অটোচালক, কখনো মাটিকাটা শ্রমিক। জীবিকার তাগিদে যখন যে কাজ পান সেটাই করেন। প্রত্যয়ী এ তরুণীর নাম বীথি খাতুন। বৃদ্ধা মায়ের দেখভাল আর সংসারের দুমুঠো খাবার জোগাতেই তার এ সংগ্রাম। বৃদ্ধা মায়ের কথা ভেবে বিয়ে বন্ধনেও আবদ্ধ হননি বীথি। সিংড়া উপজেলার বিভিন্ন বাজার বা বাসস্ট্যান্ডে দেখা মিলবে এই তরুণীর। জানা যায়, সিংড়া উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা বীথি  ছয় ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট। বাবা ইয়াকুব আলী ছিলেন ভ্যানচালক। চার বছর আগে বাবা মারা যাওয়ার পর অভাবের সংসারে সন্তানদের কেউ দিনমজুর কেউ গার্মেন্টে কাজ নেন। আর অসুস্থ মায়ের পাশে দাঁড়াতে ব্যাটারিচালিত অটোভ্যান চালানো শুরু করেন বীথি। বগুড়ার রণবাঘা বাজার থেকে সিংড়ার বোয়ালিয়া বাজার পর্যন্ত যাত্রী আনা-নেওয়া করেন তিনি। এতে দিনে ২৫০-৩০০ টাকা পর্যন্ত আয় হয়। এই দিয়ে চলে তার সংসার ও অসুস্থ মায়ের চিকিৎসা খরচ। সারাদিন হাড়ভাঙা পরিশ্রমের পর মায়ের সেবাযত্ন করেন নিজ হাতেই।

বীথি জানান, বাবা মারা যাওয়ার পর মায়ের কথা ভেবে সংসারের হাল ধরি। তিন ভাইয়ের কেউ মায়ের খোঁজ নেন না। তিন বোনের দুজনের বিয়ে হয়ে গেছে। মাকে দেখভালের জন্য নিজের সংসার করা হয়ে উঠেনি। বীথি বলেন, ‘এতদিন অন্যের ভ্যান চালিয়েছি কিন্তু তাতে পোষায় না। এ জন্য প্রায় দুই মাস আগে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ৪৫ হাজার টাকা লোন নিয়ে ভ্যান কিনেছি। কিস্তির টাকা শোধ করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছি’।

সর্বশেষ খবর