বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

বিধ্বস্ত পাহাড়ে স্বপ্ন বোনার চেষ্টা

রাঙামাটি প্রতিনিধি

বিধ্বস্ত পাহাড়ে স্বপ্ন বোনার চেষ্টা

ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি মেরামত করছেন স্থানীয়রা —বাংলাদেশ প্রতিদিন

পাহাড় ধসের ক্ষতচিহ্ন এখনো শুকায়নি। ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে দুমড়েমুচড়ে যাওয়া বসতঘরগুলো। ছয় মাস আগে যে পাহাড় মৃত্যুপুরিতে পরিণত হয়েছিল সেখানেই এখন স্বপ্ন বোনার প্রাণপণ চেষ্টা করছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে গড়ে তুলছেন জনবসতি। কেউ ভাঙাঘর মেরামত করছেন। কেউ নতুন করে ঘর তৈরি করছেন। সব হারানো অনেকে আছেন নিজের ভিটার খোলা আকাশের নিচে। এমন চিত্র দেখা গেছে রাঙামাটি শহরের শিমুলতলী, রূপনগর, মুসলিম পাড়া, রাঙাপানি, রিজার্ভ বাজার, তবলছড়ি ও বেতার কেন্দ্র এলাকায়।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মানজারুল মান্নান জানান, পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সরকারিভাবে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এখনো সহায়তা অব্যাহত আছে। যার যা প্রয়োজন  চাহিদা অনুসারে তাই দেওয়া হচ্ছে। পাহড় ধসের কারণে যে সব শিক্ষার্থী পড়ালেখা করতে পারেনি, তাদের নতুন করে পড়ালেখার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া আগামীতে যে কোনো  প্রাকৃতিক দুর্যোগে যাতে জানমালের ক্ষতি এড়ানো যায় সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন করা হচ্ছে।

অভিযোগ আছে, সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পুনর্বাসন করার কথা থাকলেও তার বাস্তবায়ন হয়নি। শিমুলতলী এলাকার বাসিন্দা শারমিন আক্তার ও হাসিনা বেগম বলেন, ‘দীর্ঘদিন আশ্রয় কেন্দ্রে থাকার পর আমরা ভিটেমাটিতে ফিরে এসেছি। সরকারের পক্ষ থেকে ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হয়েছে কিন্তু নিরাপদ কোনো জায়গা দেওয়া হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে ভাঙা ঘর মেরামত করে বসবাস শুরু করেছি’। উল্লেখ্য, রাঙামাটিতে গত ১৩ জুন ভয়াবহ পাহাড় ধসে ১২০ জন লোক প্রাণ হারান। ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রায় ১৮ হাজার ৫৫৮টি পরিবার। এখনো সন্ধান মিলেনি মাটিচাপায় নিখোঁজ অনেকের। তারপরও মানুষ বসবাস করছেন ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় ও এর পাদদেশে। মনে মৃত্যুর ভয় থাকলেও কোনো উপায় না পেয়ে আবারও বাধ্য হয়ে বিধ্বস্ত পাহাড়ে বসবাস করতে হচ্ছে বলে জানান ঝুঁকিতে বসবাসরত মানুষগুলো।

সর্বশেষ খবর