বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

১৩৯ জনের বিপরীতে একটি কম্বল!

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

শীতে কাঁপছে পঞ্চগড়ের সাধারণ মানুষ। উত্তরের হিমেল হাওয়া ও  ঘনকুয়াশায় সর্বউত্তরের এই জেলার সাধারণ মানুষের  জীবন এখন বিপর্যস্ত। ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত সূর্য্যের দেখা মেলেনা এখানে। যেখানে ৫০ বছরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দুই দশমিক ছয় ডিগ্রি। এই জেলার প্রায় তিন লাখ মানুষ এখন শীত নিবারণের এক খণ্ড কাপড়ের জন্য চেয়ে আছে। কিন্তু শীতবস্ত্র দূরে থাক কেউ খোঁজখবরও নিচ্ছেন না। জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, সরকারি বরাদ্দ এতো কম যে সাধারণ মানুষের কাছে ভয়ে যেতে পারছেন না তারা। তেঁতুলিয়া উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউপির এক সদস্য জানান, এই ইউনিয়নে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের মধ্যে ১০ হাজারের অতি জরুরি শীতবস্ত্র দরকার। কিন্তু এই ইউনিয়নে সরকারিভাবে কম্বল দেওয়া হয়েছে মাত্র ২১৫টি। যা সংখ্যার হিসেবে প্রতি ১৩৯ জনের বিপরিতে মাত্র একটি। জনপ্রতিনিধিরা জানাচ্ছেন এত অপ্রতুল কম্বল  নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে যাওয়া যাচ্ছে না। কাকে ছেড়ে কাকে কাকে দেবে এই পরিস্থিতে কম্বলগুলো পরিষদের গুদামেই রেখেছেন। তেঁতুলিয়া উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুলতানা রাজিয়া বলেন, আমার ভাগে সরকারি বরাদ্দ মাত্র ২০টি কম্বল। লজ্জায় মানুষের কাছে যেতে পারছি না। দুর্দিনে তাদের পাশে দাঁড়াতে পারছি না’। জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ‘জেলায় ৩ লাখ শীতার্ত মানুষের মধ্যে বণ্টনের জন্য সরকারিভাবে কম্বল দেওয়া হয়েছে ২৮ হাজার। শীতবস্ত্র নিবারণের বেলায় শিশুদের কথা বিবেচনা করা হয়নি। বয়স্করা কম্বল ব্যবহার করতে পারলেও শিশুদের প্রয়োজন সোয়েটার, জ্যাকেট’।

সর্বশেষ খবর