শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে পুলিশ ধরে ছেড়ে দেওয়ার পর বিশ্বজিৎ সরকার নামে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় থানার ওসি এ কে এম ফসিহুর রহমান, দুই উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতিয়ার রহমান ও সুমন মিয়াসহ ১২ জনকে আসামি করে আদালতে হত্যা মামলা হয়েছে।
নিহতের ভাই নিত্যানন্দ সরকার সুব্রত বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। ঘটনার আড়াই মাস পর বৃহস্পতিবার বিকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-২ নালিতাবাড়ী উপজেলা আদালতে মামলা করেন। আদালতের বিচারক ঊর্ধ্বতন বিচারিক হাকিম মো. হুমায়ুন কবীর মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআই ময়মনসিংহকে (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন মুন্না আদালতে নালিতাবাড়ী থানার ওসি, এসআইসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। মামলা দায়েরের সময় আদালতে বাদীপক্ষের আইনগত সহায়তা করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, ময়মনসিংহ বিভাগের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম চুন্নু।
গত বছরের ১ অক্টোবর রাত ৭টার দিকে পুলিশ নালিতাবাড়ী শহরের কাচারিপাড়া এলাকার কাঠমিস্ত্রী বিশ্বজিৎ সরকারকে (২০) গাজা রাখার অভিযোগে আটকের পর পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। পরে ওই রাত ১০টার দিকে তাকে দুলাভাইয়ের জিম্মায় থানা হাজত থেকে ছেড়ে দেওয়ার পর রাত ১টার দিকে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে উপজেলা হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশের পিটুনিতে হত্যার দাবি করে পরদিন তার লাশ নিয়ে এলাকাবাসী বিক্ষোভ করেন। সে সময় পুলিশের নালিতাবাড়ী সার্কেলের অফিস কক্ষে ইটপাটকেলের আঘাতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার নালিতাবাড়ী সার্কেল মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মামলার ব্যাপারে শুনেছি। বিস্তারিত জেনে পরবর্তীতে বলা যাবে।