বাপ-দাদার মাটি দিয়ে তৈরি করা ঝুঁকিপূর্ণ ঘরে কোনোরকম জীবনের শেষ বেলা কাটাচ্ছেন অশীতিপর হোসেন আলী। জীবন সায়াহ্নে তাঁর একমাত্র সঙ্গী স্ত্রী সাহারা খাতুন। উভয়ের শরীরে বেঁধেছে নানা অসুখ। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটলেও তাদের এখন প্রধান সমস্যা সুপেয় পানির অভাব।
শ্রীপুর মাওনা ইউনিয়নের সিংদিঘী গ্রামের ইন্নছ আলীর ছেলে হোসেন আলী। অন্যের বাড়িতে দিনমজুরের কাজ করে তিন সন্তানকে বড় করেছেন। সন্তানরা সংসার গড়ার পর একে একে বাবা-মাকে ছেড়ে যান। জন্মের পর থেকে অভাব পিছু ছাড়েনি হোসেন আলীর। তাই আজও নিজের বাড়িতে একটি টিউবওয়েল স্থাপন করতে পারেননি। ভরসা ছিল প্রতিবেশীর বাড়ি। সেখানেও বাধা পড়েছে। এখন স্থানীয় একটি পুকুরের ও বিভিন্নজনের কাছ থেকে সংগৃহীত পানি দিয়ে কোনরকম দিন পার হচ্ছে তাদের। হোসেন আলী বলেন, ‘তিনি কয়েক বছর ধরে অসুস্থ থাকায় কাজে যেতে পারেন না। স্ত্রীর সামান্য আয়ে চলতে হয়। এক বেলা খাবার না খেলেও চলে, কিন্তু পানি ছাড়া তো আর চলে না। প্রতিবেশীদের বাড়িতে একদিন পানি আনতে গেলে পরদিন তারা না করে দেয়’। হোসেন আলীর স্ত্রী সাহারা খাতুন বলেন, ‘পানির অভাবে সপ্তাহে একদিনও গোসল জোটে না’। মাওনা ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম খোকন জানান, বিষয়টি তার ধারণার বাহিরে ছিল। এই পরিবারের সুপেয় পানির যোগান ও তাদের কষ্ট লাঘবের জন্য দ্রুততম সময়ে টিউবওয়েলের ব্যবস্থা করা হবে।