শনিবার, ২০ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

অচল পা কেটে ‘স্বস্তি’ চান বাকপ্রতিবন্ধী রবীন্দ্র

দিনাজপুর প্রতিনিধি

অচল পা কেটে ‘স্বস্তি’ চান বাকপ্রতিবন্ধী রবীন্দ্র

এক সময়ে ফুটবলসহ সব ধরনের খেলায় পারদর্শী ছিলেন বাকপ্রতিবন্ধী রবীন্দ্র রায়। খেতখামার ও মানুষের বাড়িতে কাজ করে চালাতেন সংসার। আকস্মিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় বাম পা থেঁতলে যায় তার। পায়ের চিকিৎসা করাতে গিয়ে তিনি এখন নিস্ব। ভিক্ষাবৃত্তি করে করছেন জীবিকা নির্বাহ। কিন্তু পা আর ভাল হয়নি। চিকিৎসকরা বলেছেন পা কেটে ফেলতে। কিন্তু টাকা নেই। জীবনের শেষ সময়টুকু অচল পা কেটে ‘স্বস্তিতে’ বাঁচতে চান তিনি। রবীন্দ্র রায় (৫০) দিনাজপুর চিরিরবন্দর উপজেলার ছত্রিশ মাস্টার পাড়া গ্রামের হরপতি রায়ের ছেলে। রবীন্দ্রের স্ত্রী জোসনা স্বামীর চিকিৎসার জন্য হৃদয়বান মানুষের কাছে সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন। এলাকাবাসী ও স্থানীয় শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান, বাকপ্রতিবন্ধী রবীন্দ্রের খেতখামার ও মানুষের বাড়িতে কাজ করে ভালোই দিন যাচ্ছিল। ১৯৯৮ সালে বিয়ে করেন। দুই ছেলে সন্তান জন্ম দিলেও পরে দুজনই মারা যান। ২০০৮ সালে একদিন কৃষি কাজে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় তার বাম পা থেঁতলে যায়। বিভিন্ন জায়গায় ডাক্তার দেখিয়েও লাভ হয়নি। বেঁচে থাকার তাগিদে অচল পা নিয়ে বেছে নেন ভিক্ষাবৃত্তি।

ছয় মাস আগে রবীন্দ্র আরেক ছেলের বাবা হন। বর্তমানে অচল পা নিয়ে ভিক্ষা করাও কঠিন হয়ে উঠেছে। পা না কাটলে ধীরে ধীরে পুরো শরীর অচল হওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। পা ফুলে ওজন বেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু টাকার অভাবে পা কেটেও ফেলতে পারছেন না।

সর্বশেষ খবর