মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

বেলকুচিতে এমপি-মেয়র দ্বন্দ্বে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

চাঁদাবাজি-সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে মেয়রের করা মামলায় উপজেলা যুবলীগের দুই নেতা গ্রেফতার হওয়া নিয়ে বেলকুচিতে এমপি ও মেয়র গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। গ্রেফতাররা হলেন— উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সাজ্জাদুল হক রেজা ও যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর ফারুক। এমপি আব্দুল মজিদ মণ্ডল গ্রুপ আটক নেতাদের পক্ষ নিয়ে তাদের মুক্তি এবং মেয়র আশানুর বিশ্বাস গ্রুপ শাস্তি দাবিতে পাল্টা মিছিল-সমাবেশ করেছে। এতে ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে উপজেলার আওয়ামী রাজনীতির মাঠ। দলের অনেকে বলছেন, অভিযুক্ত দুই যুবলীগ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কারপূর্বক দ্বন্দ্ব দ্রুত নিরসন প্রয়োজন। অন্যথায় বেলকুচি আওয়ামী লীগে বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন তারা। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক বলেন, ‘যুবলীগ নেতা সাজ্জাদুল হক রেজা ভুলত্রুটি যাই করুক দলীয়ভাবে মীমাংসা করা যেত। এ নিয়ে মামলা হওয়ায় যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে দলের ক্ষতি হচ্ছে’। সভাপতি ইউসুফ জী খান বলেন, ‘মেয়রের ওপর হামলা ও হামলার ঘটনায় মামলা নিয়ে বেলকুচি আওয়ামী লীগের রাজনীতি যেভাবে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে তাতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। বিষয়টি নিরসন না হলে বড় অঘটন ঘটে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে’। পৌরমেয়র বলেন, ‘পৌর কার‌্যালয় ভাঙচুর ও তাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় আইনের আশ্রয় নেওয়া হয়। পুলিশ মামলার দুই আসামিকে গ্রেফতার করলে এমপি আব্দুল মজিদের নির্দেশে তার লোকজন বেলকুচির আওয়ামী লীগের রাজনীতি কলুষিত করতে জ্বালাও-পোড়াও শুরু করে। সন্ত্রাসীর পক্ষ নিয়ে এমপি বিক্ষোভ-সমাবেশে অংশ নিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করে স্বার্থ হাসিল করতে চাচ্ছেন’। এ বিষয়ে আব্দুল মজিদ মণ্ডলের সঙ্গে কথা বলতে একাধিকবার তার মুঠোফোনে কল দিলেও রিসিভ করেননি। জানা যায়, গত ১২ ডিসেম্বর সাজ্জাদুল হক রেজা ও ওমর ফারুকসহ কয়েকজন পৌর কার‌্যালয়ে গিয়ে ভাঙচুর করেন। একপর‌্যায়ে মেয়রের কক্ষের দরজায় লাথি দিয়ে মেয়রকে গালাগাল করেন। পৌর কর্মচারী নিয়োগবাণিজ্যের অভিযোগ তুলে চাঁদা দাবি করেন। ভয়ে মেয়র দরজা বন্ধ করে ভিতরে লুকিয়ে থাকেন। পরে এ ঘটনায় দ্রুত বিচার আদালতে মামলা হয়। এ মামলায় গত বৃহস্পতিবার ডিবি পুলিশ সাজ্জাদুল হক রেজা ও ওমর ফারুককে গ্রেফতার করে। এরপরই রেজার লোকজন উপজেলায় তাণ্ডব শুরু করে। রাস্তা অবরোধ করে ১৫-২০টি বাস-অটোরিকশা ভাঙচুর ও একটি বাস পুড়িয়ে দেয়। পর দিন এমপি রেজার পক্ষ নিয়ে তার মুক্তি দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেন। মেয়র গ্রুপ তার শাস্তি দাবি করে পাল্টা মিছিল-সমাবেশ।

 

সর্বশেষ খবর