শিরোনাম
শনিবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

আজ ঐতিহাসিক সলঙ্গা বিদ্রোহ দিবস

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

ঐতিহাসিক সলঙ্গা বিদ্রোহ দিবস আজ। ১৯২২ সালের এ দিনে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের লেলিয়ে দেওয়া পুলিশ বাহিনীর গুলিতে সলঙ্গার হাটে বিলেতি পণ্য বর্জন আন্দোলনের সাড়ে চার হাজার কর্মীসহ সাধারণ হাটুরে জনতা শহীদ হন। ব্রিটিশ শাসনামলে সাম্রাজ্যবাদবিরোধী অসহযোগ আন্দোলন ও খেলাফত আন্দোলনে জনতা উদ্বেলিত হয়ে বিলেতি পণ্য বর্জন করে স্বদেশী পণ্য ব্যবহারের সংগ্রাম শুরু করেছিল। এমনি আন্দোলনের ঢেউ এসে আছড়ে পরে সলঙ্গায়। সে সময় তৎকালীন পাবনা জেলা এবং বর্তমান সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গায় একটি ব্যবসায়িক জনপদ হিসেবে এখানে সপ্তাহে ২ দিন হাট বসত। ১৯২২ সালের ২৭ জানুয়ারি শুক্রবার ছিল বড় হাট বার। মাওলানা আবদুর রশিদ তর্কবাগীশের নেতৃত্বে অসহযোগ ও খেলাফত আন্দোলনের কর্মীরা হাটে নামে বিলেতি পণ্য কেনা বেচা বন্ধ করতে। আর এ স্বদেশী আন্দোলনের কর্মীদের রুখতে ছুটে আসে পাবনা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আর.এন. দাস, পুলিশ সুপার ও মহকুমা প্রশাসক এস.কে সিনহাসহ ৪০ জন সশস্ত্র লাল পাগড়িওয়ালা পুলিশ। সলঙ্গার গো-হাটায় ছিল বিপ্লবী স্বদেশী কর্মীদের অফিস। পুলিশ কংগ্রেস অফিস ঘেরাও করে গ্রেফতার করে মাওলানা আবদুর রশিদকে। এর প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। বিদ্রোহে ফেটে পড়েন সংগ্রামী জনতা। জনতার ঢল ও আক্রোশ দেখে ম্যাজিস্ট্রেট জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য গুলি চালানোর নির্দেশ দেন। শুরু হয় বুলেট বৃষ্টি। ৪০টি রাইফেলের মধ্যে মাত্র ১টি রাইফেল থেকে কোনো গুলি বের হয়নি। এ রাইফেলটি ছিল একজন ব্রাহ্মণ পুলিশের। হত্যাকাণ্ডে হতাহতের সরকারি সংখ্যা সাড়ে ৪ হাজার দেখানো হলেও বেসরকারি মতে ১০ হাজারেরও অধিক বলে জানা যায়। দিবসটি পালন উপলক্ষে মাওলানা আবদুর রশিদ তর্কবাগীশ পাঠাগার, নূরুননাহার তর্কবাগীশ ডিগ্রি কলেজ, তর্কবাগীশ মহিলা মাদ্রাসা, তর্কবাগীশ উচ্চ বিদ্যালয়, বিদ্রোহী সলঙ্গা ও সলঙ্গা ফোরাম পৃথক পৃথক ভাবে আলোচনা সভা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, র‌্যালি ও পুরস্কার বিতরণসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর