বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

৯ হাজার লিটারে ৬০ লিটার পানি

পদ্মা ভাসমান অয়েল ডিপোর তেলে ভেজাল

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশালের পদ্মা ভাসমান অয়েল ডিপো থেকে পানি মিশ্রিত জ্বালানি তেল সরবরাহের অভিযোগ বহুদিনের। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর এমন অভিযোগ অস্বীকার করলেও গত সোমবার তাদের উপস্থিতিতেই ধরা পড়েছে তেলে পানি মিশিয়ে বিক্রির ঘটনা। তা-ও আবার একটু আধটু নয়। এক ট্যাংক লরি (৯ হাজার লিটার) ডিজেলে পাওয়া গেছে ৬০ লিটার পানি। এ ঘটনায় সন্তোষজনক কোনো উত্তর দিতে পারেননি বরিশালের পদ্মা অয়েল কর্তৃপক্ষ।

নগরীর রূপাতলী বটতলা এলাকার হাজী ফিলিং স্টেশনের স্বত্বাধিকারী হাজী মিরন বলেন, ‘দুই বছর আগে তিনি ফিলিং স্টেশন স্থাপন করেন। বরিশালের কেডিসিতে পদ্মা ভাসমান অয়েল ডিপো থেকে তারটিসহ দক্ষিণাঞ্চলের ২৬টি ফিলিং স্টেশনে জ্বালানি তেল (ডিজেল ও কেরোসিন) সরবরাহ হয়। শুরু থেকেই তিনি জ্বালানি তেলে পানি মিশ্রণ ও পরিমাপে কম দেওয়া হয় বলে সন্দেহ করেছিলেন। এ নিয়ে বহুবার পদ্মা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তার বাদানুবাদও হয়েছে। কিন্তু তারা দায় স্বীকার না করে উল্টো ডিলারদের হয়রানি করেছে। গত সোমবার সকালে তিনি এক ট্যাংক লরি ডিজেল উত্তোলন করেন। দুপুরে লরি তার ফিলিং স্টেশনে প্রবেশের পর সন্দেহ হয় এবং তিনি পদ্মা অয়েল কোম্পানির ডিএসকে জানান। ডিপো ইনচার্জ তাত্ক্ষণিক একজন প্রতিনিধি পাঠিয়ে দেন হাজী ফিলিং স্টেশনে। তার উপস্থিতিতে লরি থেকে ডিজেল খালাস করার পর তলানীতে ৬০ লিটার পানি পাওয়া যায়। পদ্মা অয়েলের বরিশাল ভাসমান ডিপোর সুপারিনটেনডেন্ট শামছুল হক বলেন, ‘ভাসমান ডিপো। পাশ দিয়ে যখন কোনো বড় নৌযান যায় তখন ঢেউয়ের দোলায় সামান্য পানি ঢুকতে পারে। তবে এতো পানি থাকার কথা নয়।’ ট্যাংক লরি চালকরা অভিযোগ করেন, প্রতিটি গাড়িতে ৫০-৬০ লিটার করে পানি পাওয়া যায়। পরবর্তীতে ডিপোতে অভিযোগ নিয়ে গেলে তাদের ৫-৭ লিটার তেল দিয়ে উল্টো হুমকি-ধামকি দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

সর্বশেষ খবর