ভরা ইরি-বোরো মৌসুমেও কৃষকের কাজে আসছে না কুড়িগ্রামের রৌমারীর খেয়ারচর জিঞ্জিরাম নদীতে রাবার ড্যাম। রাবার ড্যামের পানিপ্রবাহের নালা নেই, ড্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া, রাবার ড্যামের আশপাশে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের খামখেয়ালিপনার কারণেই সেচ সুবিধা পাচ্ছে না কৃষকরা। এ কারণে ওই এলাকায় চাষাবাদ কমে এসেছে।
কৃষকদের অভিযোগ, উপজেলার জাদুরচর ইউনিয়নের খেয়ারচর জিঞ্জিরাম নদীতে এ রাবার ড্যাম। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও সমিতির নেতারা কোনো দিনও রাবার ফোলায়নি। তাই পানি না পেয়ে কৃষকরা বিকল্প দোল-সেচনি ও মেশিন দিয়ে ক্ষেতে সেচ দিচ্ছে।
অন্যদিকে রাবার ড্যামের পানির সব ধরনের সুবিধা থাকলেও কেন পাচ্ছে না কৃষক, তা এলাকায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, ২০১১-১২ অর্থবছরে কৃষি সেচ প্রকল্প আওতায় জিঞ্জিরাম নদীতে ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে রাবার ড্যামটি নির্মিত হয়। একই সঙ্গে ওই নদীসংলগ্ন এলাকায় সেচ সুবিধা দেওয়ার জন্য কোনো ধরনের পানিপ্রবাহের নালা তৈরি করা হয়নি। যা ওই পানিপ্রবাহের প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে নালা তৈরি করার বরাদ্দও ছিল। আজও স্বল্প খরচে সেচ সুবিধা পায়নি এলাকার মানুষ। ড্যামটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য একটি পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি গঠন করা হয়। বর্তমান এ সমিতির সদস্যসংখ্যা প্রায় ৩০০ জন। প্রথম বছরে থেকে পুরোদমে রাবার ড্যামের সেচ সুবিধা দেওয়ার কথা থাকলেও তা আজও আলোর মুখ দেখেনি। এ বিষয় জানতে চাইলে রাবার ড্যাম পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, রাবার ড্যাম্প যেন আমাদের মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এক বিন্দু উপকারে আসেনি কৃষকের। রাবার বসিয়ে ও আংশিক পার নির্মাণ করেই যেন ঠিকাদারের দায়মুক্ত।
রৌমারী এলজিইডি প্রকৌশলী আবদুর কায়ূম জানান— ড্যাম্পটির কাজ অসম্পূর্ণ রেখেই কাজটি সম্পূর্ণ দেখানো হয়েছে। বাঁধের পাড়, ড্রেনেজ ব্যবস্থা কোনো কিছুই সেচ ও কৃষি বান্ধব করা হয়নি।