শুক্রবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

ছাত্রলীগ-পুলিশ সংঘর্ষে আহত ১৯

বরগুনা প্রতিনিধি

বরগুনার বেতাগীতে ছাত্রলীগের বাধার মুখে বিএনপির পৌর কমিটির অফিস উদ্বোধন ও কর্মি সমাবেশ পণ্ড হয়ে গেছে। ভাঙচুর করা হয়েছে পৌর বিএনপির অফিস ও বিএনপি নেতা মো. হুমায়ূন কবিরের বাসা। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে ছাত্রলীগ, যুবলীগের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, সাংবাদিক ও পুলিশসহ অন্তত ১৯ জন আহত হয়েছেন। বৃহাস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে  পৌর শহরে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বেতাগী উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিএনপির সভাপতি শাহজাহান কবিরের সভাপতিত্বে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন পৌরসভার উপজেলা ডাকঘরের সামনে উপজেলা কমিটির অফিস উদ্বোধন করেন। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে পৌর শহরের স্টেশন রোডে খন্দকার মাহবুব হোসেন পৌর কমিটির অফিস উদ্বোধন ও কর্মি সমাবেশে যোগদানের চেষ্টা করলে ছাত্রলীগ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে ছাত্রলীগ এবং যুবলীগ কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের আদনান অনিক। এদিকে ছাত্রলীগ এবং যুবলীগ কর্মীরা বিএনপি নেতা ও গত পৌর নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী হুমায়ূন কবিরের বাসায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের আদনান অনিক বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এবং জননেত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তি করে শ্লোগান দিতে থাকলে ছাত্রলীগ কর্মীরা বাধা দেয়। এ সময় পুলিশ তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালালে তাদের অন্তত ১৭ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুনুর রশিদ জানান, কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. খন্দকার মাহবুব হোসেনের প্রোগ্রামে বাধা দেন ছাত্রলীগ এবং যুবলীগ কর্মীরা। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে কিছু ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় মেহেদী নামে এক পুলিশ কনস্টেবল আহত হন। বেতাগী প্রেস ক্লাবের সভাপতি আব্দুস সালাম সিদ্দিকী জানান, সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গেলে তাদের ওপরও হামলা করে ছাত্রলীগ কর্মীরা। এ সময় তাদের ক্যামেরাও ছিনতাই করে নিয়ে গেছে বলে জানান সালাম সিদ্দিকী।

অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অভিযোগ করেন, শান্তিপূর্ণ অনুষ্ঠানে বাধা প্রদান করে সরকার গণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকার খর্ব করেছে এবং স্বৈরাচারি মানসিকতার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন।

সর্বশেষ খবর