ফরিদপুরে কলেজ শিক্ষিকা সাজিয়া বেগম ও ব্যাংক কর্মকর্তা ফারুক হোসেনের খুনের ঘটনায় এক সপ্তাহেও কোনো ক্লু খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ। আলোচিত এ জোড়া খুনে সাজিয়ার স্বামী শহিদুল ইসলামকে পুলিশ গ্রেফতার করে তিন দিনের রিমান্ডে নিলেও তেমন কোনো তথ্য উদঘাটন করতে পারেনি। লাশের ময়নাতদন্ত রিপোর্টে কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ভিসেরা রিপোর্ট পাওয়ার পর হত্যা প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছেন মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা বিপুল কুমার দে। খুনের রহস্য পুলিশ উদঘাটন করতে না পারলেও তারা বলছেন সাজিয়া ও ফারুকের পরকীয়ার কারণেই খুনের ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ সাজিয়া-ফারুকের মোবাইল ফোনের কললিস্ট ও ম্যাসেজ উদ্ধার করেছে। সেখানে দুজনের কথোপকথন ও ম্যাসেজ আদান-প্রদানে পরকীয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে। কোতোয়ালি থানার ওসি এএফএম নাসিম জানান, বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। সবকিছু চুলচেরা বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে। আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে খুনের প্রকৃত রহস্য জানাতে পারব। তিনি বলেন, ‘শিক্ষিকা সাজিয়া বেগমকে খুন করা হয়েছে এটি নিশ্চিত, তবে ব্যাংক কর্মকর্তা খুন হয়েছেন নাকি আত্মহত্যা করেছেন এ বিষয়টির দিকেই নজর পুলিশের।’ মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, সাজিয়ার স্বামীকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হলেও তার কাছ থেকে তেমন কোনো তথ্য উদ্ধার করা যায়নি। প্রয়োজনে আবারও রিমান্ডে আনা হবে। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময় থেকে সাজিয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ফারুকের। সাজিয়ার বিয়ে হওয়ার পরও তা অব্যাহত ছিল। উল্লেখ্য, গত ৬ মে ফরিদপুর শহরের দক্ষিণ ঝিলটুলী এলাকার একটি ফ্ল্যাট বাড়ির নিচতলা থেকে সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের প্রভাষক সাজিয়া বেগম (৩৬) এবং সোনালী ব্যাংক ঢাকা মতিঝিল শাখার লিগ্যাল ম্যাটার ডিভিশনে কর্মরত ফারুক হোসেনের (৩৮) মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।