কুমিল্লা নগরী ও বিভিন্ন উপজেলায় অনুমোদনহীন গবাদি পশু ফিড সাপ্লিমেন্টের (প্রিমিক্স) ছড়াছড়ি। লিকুইড ফিড সাপ্লিমেন্টের বদলে রঙিন পানি আর পাউডারের বদলে টাইলসের পরিত্যক্ত অংশ দেওয়া হচ্ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন গরু পালনকারী ও ব্যবসায়ীরা। জেলা প্রাণি সম্পদ অফিস সূত্র জানায়, কমিল্লায় লাইসেন্স করা ফিড সাপ্লিমেন্ট কোম্পানিগুলো হচ্ছে— বাইজো অ্যান্ড ব্রাদার্স বাংলাদেশ, নিউটেক ফার্মাসিউটিকেলস ও বিডি এনিমেল হেলথ লিমিটেডসহ নয়টি। বাজার পরিদর্শন করে ইন্টার প্রোভেট, রেনডক্স, এইচডিএল বাংলাদেশ, ডেইলি সান এগ্রোভেট, গ্যালাক্সি এগ্রোভেট, এনিমেল হেলথ কেয়ার, নিউটন ফার্মা, বিল্লু বাশী এগ্রোভেট ও জিএনএফ কোম্পানির ওষুধ বিক্রি হচ্ছে। এ সব কোম্পানির কোনো অনুমোদনের তথ্য পাওয়া যায়নি। সূত্র জানায়, ডেইলি সান এগ্রোভেট কোম্পানির মনির হোসেন ২০১৫ সালে ভেজাল ফিড সাপ্লিমেন্টসহ ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। তিনি ছাড়া পেয়ে পুনরায় এই ব্যবসা করছেন। এদিকে ২০১৪ সালে র্যাব ঢাকার নীলক্ষেত থেকে এইচডিএল বাংলাদেশের কারখানায় জরিমানা করে এবং দায়িত্বরত একজনকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়। বিল্লু বাশী এগ্রোভেটের মালিক প্রিয়লাল সাহা বলেন, ‘তিনি চট্টগ্রামের একটি কোম্পানির ফিড সাপ্লিমেন্ট বাজারে সরবরাহ করতেন। এখন করেন না।’ বিডি এনিমেল হেলথ লি.এর স্বত্বাধিকারী রাসেল আহমেদ বলেন, ‘অনুমোদনহীন ও মানহীন কোম্পানিগুলো ফিড সাপ্লিমেন্টের বাজার নষ্ট করছে। কোম্পানিগুলো কিছু দোকানদারকে বেশি মুনাফা দেয়। বেশি লাভ পেয়ে তারা অবৈধ প্রিমিক্স বিপণন করে। ফলে আমরা বৈধ প্রতিষ্ঠান চালাতে হিমশিম খাচ্ছি।’ জেলা প্রাণি সম্পদ অধিদফতর কুমিল্লার কর্মকর্তা ডা. আবদুল মান্নান বলেন, ‘অনুমোদনহীন বেশি কোম্পানি নেই। তবু আমরা খোঁজ নিয়ে দেখবো।’