হকারদের দখলে চলে গেছে ফরিদপুর শহরের ফুটপাথ। ফলে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের। শহরের প্রাণকেন্দ্র জনতা ব্যাংকের মোড় থেকে থানা রোড এবং নিলটুলী থেকে পুরাতন আলীমুজ্জামান ব্রিজ পর্যন্ত সড়কের দুই পাশ দখল করে চলছে রকমারি ব্যবসা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সড়কে চলে বিকিকিনি। এছাড়া রাস্তার দুই পাশে থাকা দোকানের বেশির ভাগ মাল রাখা হয় রাস্তায়। এতে যানজট লেগেই থাকছে। মানুষ চলাচলে সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিবন্ধকতা। স্থানীয় তীতুমীর বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই এমনটি চলছে। আগে মৌখিকভাবে পৌর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি কিন্তু লাভ হয়নি। তাই এখন আর অভিযোগ করি না। হকাররা প্রথমে ছালা পেতে বসে, পরে চৌকি বানায়। এরপর বাঁশ দিয়ে সামিয়ানা লাগিয়ে পুরো দোকান বানিয়ে নেয়।’ থানা রোডের কয়েক ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমরা সরকারকে রাজস্ব দেই, দোকান ভাড়া দেই, লাখ লাখ টাকার পণ্য আমদানি করি, অথচ কোনো নিয়মনীতি ছাড়াই ফুটপাথের জায়গা দখল করে তারা নানা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। দেখার কেউ নেই।’এ রোড দিয়ে চলাচলকারী পথচারীরা অভিযোগ করেন, রাস্তাটি বেশ চওড়া হলেও বেশির ভাগ দখল করে ব্যবসা করছেন হকাররা। তাছাড়া একটি অংশে রাখা হয়েছে দোকানের মালামাল। অনেক সময় দেখা যায়, দোকানের ভিতরের চেয়ে রাস্তায় মাল বেশি। এরপর রিকশা-ইজিবাইক রাখা হচ্ছে দুই-তিনটি করে। ফলে সড়কগুলো একেবারেই সরু হয়ে গেছে। সাধারণ মানুষের ভোগন্তি চরমে পৌঁছেছে। ফরিদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মির্জা জাকির জানান, কিছুদিন আগে আমরা শরীয়তুল্লাহ বাজারে অভিযান চালিয়েছিলাম। থানা রোড ও নিউ মার্কেট এলাকার সড়কগুলো সত্যিই হকারদের দখলে চলে গেছে। সকালে উঠিয়ে দিলে বিকালে আবার এসে বসে। জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।