শুক্রবার, ৮ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা

‘উখিয়া টেকনাফে আটকা ৬৪ হাতি’

মনিটরিং সেল গঠনের সিদ্ধান্ত

কক্সবাজার প্রতিনিধি

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিম পাশে আটকা পড়েছে ৬৪টি হাতি। খাদ্য সংকটে পড়েছে এসব বন্যহাতি। পানিও পাচ্ছে না তারা। এ অবস্থায় তাদের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। বন উজাড় করে পাহাড় কাটার কারণে মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে উখিয়া টেকনাফে ১০ হাজারের বেশি বনভূমি। পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে উখিয়া টেকনাফ। কক্সবাজারের ‘বন্য হাতি ও পাহাড় সুরক্ষায় করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রতিবেদনে এসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়। এতে আরো বলা হয় বাংলাদেশে ২৬৮টি এশিয়ান আবাসিক হাতির মধ্যে ১১৮টি বাস করে কক্সবাজারে। এর মধ্যে ৬৪টি হাতি উখিয়া টেকনাফে রয়েছে। হাতির আবাসস্থল দখল করে এখন ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা নাগরিক বসবাস করছেন। বন্ধ হয়ে গেছে হাতির করিডোর। ৫০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় আটকা পড়া এসব হাতির তিন পাশে রোহিঙ্গাদের বসতি আর একপাশে রয়েছে বঙ্গোপসাগর।

বৈঠকে হাতি সুরক্ষায় করণীয় বিষয়ে মনিটরিং সেল গঠনের এবং দেশি বিদেশি এনজিওগুলোকে কার্যক্রম সমন্বয় করার সিদ্ধান্ত হয়।

বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন,  জেলাব্যাপী পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। পাহাড় কাটার ব্যাপারে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। যেসব এলাকা থেকে ট্রাকে করে মাটি পাচার করা হচেছ সেই সব এলাকায় ট্রাক ঢুকতে না পারে মত পিলার বসানো হচ্ছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাটি ও গাছ কাটার সরঞ্জাম জব্দ করার পাশাপাশি যে সব এনজিও এসব সরঞ্জাম দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আটকে পড়া হাতিদের সুরক্ষায় দ্রুত কর্মসূচি নেবেন বলে জানিয়ে বলেন, রোহিঙ্গা কর্তৃক বা স্থানীয়দের দ্বারা যাতে হাতি বিরক্ত না হয় সেই দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশের কোনো বন থেকে গাছ কাটা যাবে না। কক্সবাজার জেলা প্রশাসন এবং কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে গোলটেবিল  বৈঠকে মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি  সাংবাদিক দীপক শর্মা দীপু।

সর্বশেষ খবর