চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের কলেজ অধ্যক্ষ ও মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শাহিন সুলতানা ফেন্সি খুনের ঘটনায় বাবাকে দায়ী করেছেন দুই মেয়ে। চাঁদপুর প্রেস ক্লাবে গতকাল সংবাদ সম্মেলন ডেকে এ অভিযোগ তোলেন দুই বোন ফারজানা শাহীন পদ্ম ও ডা. ফাতিমা শাহিন পুষ্প। লিখিত বক্তব্যে পুষ্প বলেন, তার বাবা অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম চার বছর আগে স্বামী পরিত্যক্তা এক নারীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়ান। পরে সবার অগোচরে ওই মহিলাকে বিয়ে করেন। বাবার এই অনৈতিক সম্পর্ক ও দ্বিতীয় বিবাহ আমরা বোনেরা ও মা কখনই মেনে নেয়নি। যা নিয়ে মায়ের সঙ্গে বাবার প্রায়ই বিবাদ হতো। বাবা মাকে শারীরিক ও মানসিকভাবেও নির্যাতন করতেন। প্রকাশ্যেই জীবননাশের হুমকি দিতেন। এমনকি বাবার দ্বিতীয় স্ত্রীও মোবাইল ফোনে মাকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন, যা আমরা বোনেরা বহুবার দেখেছি ও শুনেছি। পুষ্প বলেন, ঘটনার দিন গত ৪ জুন সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টার মধ্যে বাবা পূর্বপরিকল্পভাবে তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সহযোগিতা ও প্ররোচনায় মাকে খুন করেন। পরে বাবার ছোট ভাই নয়ন ও বোন রানুর সহযোগিতায় খুনের আলামত নষ্ট করে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করে। সংবাদ সম্মেলনে ফেন্সির ভাই নাঈম উদ্দিন খান, জামাতা আরিফ খান, চাচাতো ভাই মানিক খান, ছোট ভাইয়ের স্ত্রী খাদিজা আক্তার বেবী, বড় ভাইয়ের স্ত্রী শামসুন্নাহার আক্তার, ছোট ভাইয়ের ছেলে খান মশিউর রহমান, বড় ভাইয়ের ছেলে ইফতেখার আহমেদ, বড় ভাইয়ের মেয়ে রোমেনা সুলতানা উপস্থিত ছিলেন।