শিরোনাম
শুক্রবার, ২৭ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা

নদী ভাঙনে টাঙ্গাইলে আতঙ্ক

খাগড়ছড়িতে হুমকির মুখে জনপদ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইল সদর ও মির্জাপুর উপজেলায় যমুনা-বউমারা নদীর ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। আতঙ্ক দেখা দিয়েছে দুই উপজেলার নদীতীরের বাসিন্দাদের মধ্যে। ইতিমধ্যে অনেকে বসতভিটা হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। আর যাদের ঘরবাড়ি এখনো ভাঙেনি তাদের প্রতিমুহূর্ত কাটে এই ভয়ে—কখন সব নদীর পেটে চলে যায়। জানা যায়, যমুনা নদীর গতকয়েক দিনের ভাঙনে সদর উপজেলার চরপৌলী গ্রামের দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও বাজার বিলীন হয়ে গেছে। হুমকিতে রয়েছে ওই এলাকার শতাধিক তাঁত কারখানা। ভাঙন রোধে এলাকাবাসী স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। তাদের ভাষ্য, প্রতি বছরই যমুনার গর্ভে হাজার হাজার বাড়িঘর চলে গেলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। স্থানীয়রা জানান, সদর উপজেলার কাকুয়া ইউনিয়নে বর্ষা মৌসুমে প্রতিবছরই যমুনার ব্যাপক ভাঙন দেখা দেয়। এ বছর ভাঙনের তীব্রতা অনেক বেশি। যমুনার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন মারাত্বক আকার ধারণ করেছে।

স্থানীয় কাকুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ জানান, যমুনার ভাঙন তাদের নিত্যসঙ্গী। প্রতি বছরই ভাঙনে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ না করলে যমুনার করাল গ্রাস থেকে এলাকাবাসীর পরিত্রাণ হবে না বলেও মনে করেন তিনি। টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শাজাহান সিরাজ বলেন, টাঙ্গাইলের পশ্চিমাঞ্চলে উত্তর-দক্ষিণ বরাবর একটি বাঁধ নির্মাণের প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু করা হবে। এদিকে মির্জাপুরের ঝিনাই নদীতে (স্থানীয় নাম বউমরা) ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। বর্ষার পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভাঙনের মুখে রয়েছে পাকা রাস্তা, ফসলি জমি, দুটি ব্যবসা কেন্দ্র ও দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

এদিকে ঝিনাই নদীর ভাঙনে কুর্নি-ফতেপুর পাকা রাস্তার বইলানপুর এবং হিলড়া এলাকায় রাস্তার অনেকাংশ নদীতে চলে যাওয়ায় উপজেলা সদরের সঙ্গে দুই ইউনিয়নের ১০ গ্রামের মানুষের যোগাযোগ বন্ধের উপক্রম হয়েছে। টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহজাহান সিরাজ বলেন, সরেজমিন পরিদর্শন করে ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এদিকে খাগড়ছড়িতে চেঙ্গী ও মাঈনী নদীর ভাঙনে বসতবাড়ি, ফসলি জমি, জনপদ বিলীন হচ্ছে। দুই নদীর তীব্র ভাঙনে ইতিমধ্যে প্রায় ২০টি বাড়িঘর বিলীন হয়ে গেছে। চেঙ্গীর ভাঙনে হুমকিতে রয়েছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রয়েছে খাগড়ছড়ি সরকারি খাদ্য গুদাম, গঞ্জপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুসলিম পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, শব্দমিয়া পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়। ভাঙনকবলিত এলাকার মধ্যে আছে শব্দমিয়া পাড়া, শান্তিনগর, মুসলিম পাড়া, গঞ্জপাড়া, বাস টার্মিনাল এলাকা, গোলাবাড়ি, কমরছড়ি, খবংপুরিয়া, রাবার বাগান এলাকা। এছাড়া মাঈনী নদীর ভাঙনের মুখে রয়েছে কবাখালি, বোয়ালখালি, দিঘীনালা থানা বাজার।

সর্বশেষ খবর