টানা বর্ষণে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ২০ গ্রামের এক হাজার ১২৫ বিঘা (১৫০ হেক্টর) জমির আমন চারা ডুবে গেছে। দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা না হলে রোপণ করা এ সব ধানের চরা নষ্ট হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত এক সপ্তাহ ধরে উপজেলায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। এতে নামুইট, কাথম, চাকলমা, বাদলাশন, কৈগাড়ী, দামগাড়া, নিজামদকুড়ি, ঢাকইর, দমদমা, চাতরাগাড়ি, নাগরকান্দি, কালিয়াগাড়ী, রুস্তুমপুর, মূলকুড়িসহ বিভিন্ন মাঠের আমন ধান ডুবে গেছে। কৃষকদের অভিযোগ, বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের দুই পাশে খাল ভড়াট করে স্থাপনা গড়ে তোলার কারণে বৃষ্টির পানি বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ফসলি জমি প্লাবিত হচ্ছে। বিভিন্ন মাঠে এখন থৈ থৈ পানি। নামুইট গ্রামের গোলাম রব্বানী জানান, তার ১৫ বিঘা জমির আমন ধানের চারা পানির নিচে। দ্রুত পানি না কমলে কিংবা আবার বৃষ্টি হলে এ বছর আমন আবাদ পুরোই বিফলে যাবে। পানি নিষ্কাশনের জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে খাল সংস্কারের দাবিও জানান তিনি। নাগরকান্দি গ্রামের জয়নাল আবেদীন জানান, এই এলাকায় এখনো অধিকাংশ জমিতে আমন চারা লাগানো হয়নি, জমি তৈরি করে রাখা হয়েছিল। সে সব জমি পানিতে ডুবে যাওয়ায় চারা রোপন করা সম্ভব হচ্ছে না। অব্যাহতভাবে পানি বাড়ায় নদীপাড়ের বাসিন্দারাও রয়েছেন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায়। নন্দীগ্রাম কৃষি কর্মকর্তা মশিদুল হক বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে উপজেলায় প্রায় ১৫০ হেক্টর জমির আমন খেতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা গেলে ফসলের কোনো ক্ষতি হবে না।