বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়কে চলছে ফিটনেসবিহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ লক্করঝক্কর মার্কা গাড়ি। এ সব পরিবহনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে মানুষ এ সড়কে চলাচলে দুর্ভোগের শিকার হলেও ভ্রূক্ষেপ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। জানা যায়, বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়কে চলাচলকারী একমাত্র গণপরিবহন সার্ভিস পূরবী ও পুর্বানী বাস। এ দুটি পরিবহনের বাসের ৯০ ভাগেরই ফিটনেস নেই। বহু আগেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়া বাসগুলোর মালিকরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বছরের পর বছর মানুষ ঠকিয়ে টাকা কামাচ্ছে। অভিযোগ আছে, স্থানীয় আওয়ামী লীগ-বিএনপি নেতারা মিলেমিশে বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়কে তাদের প্রতিপত্তি ও প্রভাব ধরে রাখতে মরিয়া। সার্ভিস দুটি বার বার যাত্রী সেবার মান উন্নয়নের কথা বললেও দিন দিন বরং এর মান কমছে। ফলে এ সড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা পড়েছেন সীমাহীন ভোগান্তিতে। দীর্ঘ এক দশক ধরে সার্ভিস দুটি একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে এ সড়কে চলাচল করেছে। এদের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ থাকার পরও প্রশাসন কোনো প্রকার ব্যবস্থা নেয়নি। বিপরীতে এদের অন্যায় আবদার মেনে নিয়ে সড়কটিতে অন্য কোনো যানবাহন চলাচলে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। পূরবী ও পূর্বানী পরিবহনের বাসগুলোর ভেতরের অবস্থা খুবই করুণ। যাত্রী বসার এক সিট থেকে অন্য সিটের দূরত্ব এতোই কম যে ঠিকমত পা রাখা যায় না। বাস মালিক কর্তৃপক্ষ নতুন করে সিট বসানোর কথা বললেও তা এখনও কার্যকর হয়নি। এছাড়া সার্ভিস দুটির চালক-হেলপারের অশোভন আচরণে বিব্রত যাত্রীরা। বান্দবান জেলা প্রশাসক আসলাম চৌধুরী বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। ফিটনেসবিহীন গাড়ি থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।