বৃহস্পতিবার, ৯ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

যেখানে নিয়মনীতির বালাই নেই!

পিরোজপুরের বিভিন্ন ক্লিনিক-প্যাথলজি

পিরোজপুর প্রতিনিধি

সরকারি নীতিমালার কোনো রকম তোয়াক্কা না করেই চলছে পিরোজপুরের বিভিন্ন ক্লিনিক ও প্যাথলজি। যত্রতত্র গড়ে ওঠা এ সব বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রায়ই ঘটছে অনাকাক্ষিত ঘটনা। ক্লিনিকগুলোতে ভুল চিকিৎসা মৃত্যু আর প্যাথলজিতে ভুল রিপোর্ট প্রদান এবং একজনের রিপোর্ট অন্যজনকে দেওয়া নিত্যদিনের ঘটনা। তাছাড়া এ সব প্রতিষ্ঠানে বিধি অনুযায়ী চিকিৎসক-টেকনিশিয়ানসহ প্রয়োজনীয় লোকবলও থাকেনা।

জানা যায়, সরকারি হাসপাতালের ১০০ গজের মধ্যে কোন বেসরকারি প্যাথলজি বা ক্লিনিক না থাকার বিধান রয়েছে। কিন্তু পিরোজপুর সদর হাসপাতালের গেটের আশপাশে কয়েক গজের মধ্যেই রয়েছে বেশকটি প্যাথলজি। এ সব প্যাথলজিতে অফিস টাইমে সরকারি চিকিৎসকদের রোগী দেখাসহ নানা অভিযোগ দীর্ঘদিনের। শহরের ধুপপাশা এলাকার ব্যবসায়ী আবদুল আলিম জানান, তার স্ত্রীকে সদর হাসপাতালের সামনের মা ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামের প্যাথলজিতে প্রেগনেন্সি টেস্ট করার পর রিপোর্ট দেয়া হয় নেগেটিভ। এরপর অন্য দুটি স্থানে একই টেস্ট করালে পজেটিভ রিপোর্ট আসে। একই এলাকার আরেকজন অভিযোগ করেন, তার স্ত্রীর পেটে ব্যাথা হলে মা ডায়াগনিস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করার পরে রিপোর্ট দেয় রোগী সন্তানসম্ভাবা। এরপর স্ত্রী আরও অসুস্থ হলে খুলনা নিয়ে যাই। সেখানে পরীক্ষায় ধরা পরে তার পেটে টিউমার রয়েছে। সেবা ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রোগীরা জানান, ক্লিনিকে প্রয়োজনের সময় ডাক্তার পাওয়া যায়না। এ ক্লিনিকের ম্যনেজার, বয়রাও অপারেশন করেন বলেও অভিযোগ আছে। মা ডায়াগনিস্টিক সেন্টারে মালিক রিপন ভুল রিপোর্টের জন্য দায় দেন ডাক্তারের উপর। অফিস টাইমে তার প্রতিষ্ঠানে সরকারি ডাক্তার সেবা দেওয়ার বিষয়ে বলেন, দুটা-আড়াইটা দিকে ডাক্তার আসেন। পিরোজপুরের সিভিল সার্জন ডা. ফারুক আলম জানান, জেলায় কিছু ভুইফোর  ক্লিনিক আছে। সরকারি অফিসের সময় ডাক্তারদের কর্মস্থলে না থাকার জন্য তিনি কয়েকজনকে শোকজ করেছেন। এরপরও এমন হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর