শনিবার, ১১ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

ভাঙন বাড়াচ্ছে হাহাকার

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের নদ-নদীগুলোতে পানি বাড়ায় পাল্লাদিয়ে শুরু হয়েছে ভাঙন। মুহূর্তের মধ্যে ব্রহ্মপুত্রের গর্ভে চলে যাচ্ছে ফসলি জমি, ভিটেমাটি। গত বছরে ভাঙন ঠেকাতে প্রায় ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে রৌমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্প বরাদ্দ ছিল। পুরো কাজ করার কথা থাকলেও পরে আংশিক কাজ করেও ঠিকাদার চলে যায় বলে অভিযোগ নদীভাঙন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের। তবে এখন পর্যন্ত কোনো বরাদ্দ না পাওয়ায় হতাশ হয়ে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের কথায় ভরসা পাচ্ছে না ক্ষতিগ্রস্তরা।

গত ৯ দিনে উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের বাগুয়ারচর বলদমারা নৌকাঘাট, পশ্চিম পাখিউড়া, বাইসপাড়াসহ প্রায় দুই কিলোমিটারের বেশি এলাকা জুড়ে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন স্থানীয়রা। গত কয়েকদিনে ব্রহ্মপুত্র নদে বিলীন হয়েছে দুশতাধিক ঘরবাড়ি। ভাঙন অব্যাহত থাকায় প্রতি মুহূর্তে মাথা গোঁজার ঠাঁই হারানোর আতঙ্ক নিয়ে বাস করছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। নদী ভাঙন প্রতিরোধ না করলে বাস্তুহারা মানুষের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে শঙ্কা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের। ক্ষতিগ্রস্তরা বলেন, ‘থাকার ঘরটুকু ছাড়া আর কোনো জায়গা নাই, নদীর ভাঙনে সেটাও শ্যাষ হবার লাগছে। কেমন করি বাঁচি থাকবো জানি না।’

অন্যদিকে, একই গ্রামের ব্রহ্মপুত্র তীরের বাগুয়ার চর গ্রামের ইছার আলী ও রমেছার আঙিনার সীমানা প্রাচীরের কাছে নদী এসে তার ভাঙনের দাপট দেখাচ্ছে। তারা নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার তাগিদে যুগলবন্দী হয়েই নেমে পড়েছেন ভাঙন প্রতিরোধে। সিমেন্ট ব্যাগে বালু ভরে সেই ব্যাগ দিয়ে ভাঙন রোধের শেষ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু ব্রহ্মপুত্র গতিপথ না বদলালে তাদেরও রক্ষা নেই। আলমেছ আলী বলেন, শ্যাষ চেষ্টা করি দেখি, যদি নদীর দয়া হয়! এদিকে নির্বাহী প্রকৌশলী পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি প্রকৌশলী টিম ভাঙন কবলিত এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর