পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসকারী বাসিন্দাদের জেলা প্রশাসকের স্থায়ী বাসিন্দা সনদের জন্য নিতে হয় রাজার সনদ। স্থায়ী বাসিন্দা প্রমাণে মৌজায় জায়গা আছে এমন বাসিন্দাদের সনদ প্রদান করে বোমাং সার্কেলের রাজা। সে হিসেবে বান্দরবানে জায়গা আছে এমন বাসিন্দাদের এবং তাদের ছেলে-মেয়েরা রাজার সনদ পাওয়ার দাবি রাখে। কিন্তু বর্তমানে রাজার সনদ নিতে হলে নিজ নামে জায়গা থাকতে হবে বোমাং রাজার এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়েছে বান্দরবানের বাসিন্দারা। প্রতিবাদে আজ রবিবার বান্দরবান প্রেস ক্লাবে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে। এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পার্বত্যাঞ্চলের ছেলে-মেয়েরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবে। সেখানে কোটা সুবিধা নেওয়ার জন্য তাদের রাজার সনদ প্রয়োজন। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পার্বত্যাঞ্চলের স্থায়ী বাসিন্দাদের জন্য রয়েছে উপজাতীয় ও অ-উপজাতীয় পার্বত্য কোটা। সে কোটা সুবিধা গ্রহণের জন্য পার্বত্যাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন স্থায়ী বাসিন্দার সনদ। আর স্থায়ী বাসিন্দার সনদ নিতে দরকার হয় রাজার সনদ। দীর্ঘদিন ধরে নিজ নামীয় জায়গার মালিকের ছেলে-মেয়েরা পেয়ে আসছে রাজার সনদ। কিন্তু হঠাৎ করে বোমাং সার্কলের ১৭তম রাজা উ চ প্রু ঘোষণা করেন রাজার সনদের জন্য আবেদনকারীর নিজ নামে মৌজায় জায়গা থাকতে হবে। কিন্তু অভিভাবকরা বলছেন ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের নামে জায়গা থাকবে কী করে। নিজের কন্যার জন্য রাজার সনদের আবেদন করা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমার জায়গা আছে আমি স্থায়ী বাসিন্দা। তাহলে আমার সন্তানদের নামে জায়গা নেই, তাহলে ওরা এখানকার স্থায়ী বাসিন্দা নয় এটা কেমন আইন। এটা তো জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলা।